আবহওয়া পরির্বতনে শীতকালে নানান ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। অধিকাংশ মানুষই এই সময়টাতে খুসখুসে কাশির যন্ত্রণায় ভোগেন। কারণে অকারণে শুকনো কফের থেকে কিছুক্ষণ পর পর কাশি ওঠে। ক্রমাগত কাশি অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করে। চলুন জেনে নেই খুসখুসে কাশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া কিছু উপায়-
১. মধু
কাশি উপশমে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে মধুর জুড়ি নেই। মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে। কখনও কখনও ওষুধগুলোর চেয়েও ভালো কাজ করে মধু। মধু কফ কমাতে সাহায্য করে। যষ্টিমধু ভেতর থেকে কফ বের করার পাশাপাশি গলাকে পরিষ্কার করে। মধু কাশি বা ঠান্ডার জন্য আদর্শ ওষুধ হলেও এক বছর বয়সের নীচে শিশুদের মধু খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়।
নীচে কাশি দূর করতে মধুর ব্যবহার কয়েকভাবে দেয়া হলোঃ-
১. এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ মধু, অর্ধেকটা লেবুর রস আর সামান্য আদার রসের মিশ্রণ প্রতিদিন ১/২ বার খেতে হবে। এ মিশ্রণ কফ ও গলা ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে।
২. গরম দুধের সাথে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত পান করলে কাশি উপশম হবে।
৩. দিনে ৩ বার করে ১ টেবিল চামচ মধু খেলেও কাশি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
৪. এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়া ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খান। দিনে ২ বার খেলে কাশি সেরে যাবে।
২. বাসক পাতা
বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি উপশম হয়। দৈনিক সকালে এই পানি খেতে হবে। বাসক পাতার রস প্রতিদিন সন্ধ্যায় খেলে ভালো। ২-৩ দিনেই এর খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। তেতোভাব কমাতে রসের সাথে সামান্য চিনি মেশাতে পারেন।
৩. তুলসী পাতা
তুলসী পাতা থেঁতো করে এতে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করতে হবে। এই মিশ্রণটি দৈনিক ২/৩ বার খেলে কাশি ভালো হয়।
৪. আদা
আদা ছোট ছোট টুকরা করে তার সাথে লবণ মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর খেতে হবে। এই পদ্ধতি কাশি দূর করতে বেশ কার্যকরী। তাছাড়া আদা চা করে খেলেও কাশিতে উপকার পাবেন।
৬. মেন্থল ক্যান্ডি
মেন্থল দিয়ে তৈরী ক্যান্ডি বা চকোলেট কাশির জন্য উপকারী। এসব ক্যান্ডি শক্ত কফ নরম করে গলা থেকে কফ গুলোকে বের করে ও কাশি কমাতে পারে।