অযত্নের কারণে চোখের নিচে জমতে পারে কালো দাগ!

স্বাস্থ্য, লাইফস্টাইল

লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-11-14 18:57:31

চোখের নিচে কালো দাগ হওয়া এক ধরনের পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তারপরও এই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা অনেক সময় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। চোখের নিচে কালো বৃত্ত বা ডার্ক সার্কেল কী কারণে হয়, তা জেনে নেই।

চোখের নিচে কালো দাগ আসলে কী
চোখের নিচের ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে কালো হয়ে গেলে চোখের নিচে কালো দাগ হয়। অনেকেই মনে করেন, এই দাগ ক্লান্তির লক্ষণ। আবার এ কালো দাগকে শারীরিক দুর্বলতা তো বটেই, কেউ কেউ বয়স হয়ে যাওয়ার লক্ষণ মনে করে থাকেন। তবে কালো দাগ হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে।
ত্বকের ধরনের ওপর নির্ভর করে চোখের নিচে কালো বৃত্তগুলো বাদামি, নীল বা বেগুনি দেখাবে। তবে এ কালো বৃত্ত বা দাগ সংক্রমণের কারণে বা চোখের চারপাশে যে কোনো আঘাতের কারণে সৃষ্ট দাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

চোখের নিচে কালো দাগের কারণ
শরীরে যখন ক্লান্তি ভর করে, তখন এ ধরনের দাগ মুখের ওপর বিশেষ করে চোখের নিচে দেখা দিয়ে থাকে। কিন্তু চোখের নিচে যদি কোনো কারণে দীর্ঘস্থায়ী কালো বৃত্ত দেখা দেয়, তবে তার কারণগুলো খুঁজে বের করা দরকার। পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই সমানভাবে প্রভাবিত করতে পারে এই ডার্ক সার্কেল। তবে নারীরা এই ব্যাপারে বেশি যত্নশীল হয়। চলুন জেনে নেই কি কি কারণে এই ডার্ক সার্কেল হয়ে থাকে।

অত্যধিক অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব
উচ্চ মাত্রার ইউভি রশ্মির সংস্পর্শ মেলানিন উৎপাদনকে উদ্দীপ্ত করতে পারে এবং চোখের নিচে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

ত্বকের বার্ধক্য
কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতির ফলে ত্বকের বার্ধক্যে প্রভাব ফেলে। এর ফলে ত্বক পাতলা হয়ে যায় যা চোখের নিচে ভাঁজ দেখা দেয়।

ঘুমের অভাব/ক্লান্তি
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বা গভীর রাত অবধি জেগে থাকা আরেকটি কারণ হতে পারে। ঘুমের অভাব চোখের পাতলা ত্বকের নিচের রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে এবং এটি চোখের নিচে ছায়া তৈরি করে।

কান্নাকাটি
অতিরিক্ত কান্নাকাটি করা বা প্রচুর চাপ নেওয়া ত্বকের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জীবনধারা
অত্যধিক ধূমপান বা মদ্যপান চোখের নিচে কালো দাগ সৃষ্টি করতে পারে।

খাদ্য ও পুষ্টি
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং ভিটামিন কে-এর অভাবে ডার্ক সার্কেল হতে পারে।

দুর্বল রক্ত ​​সঞ্চালন
শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা দুর্বল হলে চোখ কালো এবং ফোলা হয়ে যায়।

ডার্ক সার্কেলের জন্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা কসমেটোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তবে চোখের নিচে কালো দাগ অপসারণের জন্য অনেকগুলো বিকল্প চিকিৎসা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঘরোয়া প্রতিকার, প্রসাধনী পণ্য এবং আধুনিক চিকিৎসা কৌশল । যেমন, লেজার রিসারফেসিং এবং রাসায়নিক পিলিং।

দৈনিক নিয়মভিত্তিক মুখের ব্যায়াম এবং সহজ যোগব্যায়ামও ডার্ক সার্কেল কমাতে কার্যকর হতে পারে। ব্যায়াম হল ডার্ক সার্কেল কমানোর এবং পরিত্রাণ পাওয়ার একটি প্রাকৃতিক উপায়। ব্যায়াম ত্বকে তারুণ্যের উজ্জ্বলতাও বাড়ায়। কিছু মুখের ব্যায়াম রক্ত ​​সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করে এবং চোখের নিচের পেশীগুলোকে সুরক্ষিত রাখে। যোগব্যায়াম ভঙ্গি এবং মুখের ব্যায়াম চোখের নিচের কালো দাগ উজ্জ্বল করতে এবং ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। তবে কিছু রিপোর্টে দেখা যায় , ডার্ক সার্কেল বংশগত কারণেও হতে পারে।

তথ্যসূত্র: মেড ইন্ডিয়া

এ সম্পর্কিত আরও খবর