আধুনিক জীবনের ব্যস্ত সময়ে নিজের যত্ন নেওয়া হয়ে উঠে না অনেক সময়। তাই ব্যস্ত সময়ের মাঝে কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন, তার কিছু টিপস দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ক্রিতু বান্দারি। তিনি জানান, আধুনিক এই যুগে অফিসের কাজ, সংসারের দায়িত্ব পালন করে সারা দিনে নিজের যত্ন নেওয়া আর হয়ে উঠে না। তাই রাতের বেলা নিতে পারেন শরীরের যত্ন।
ক্লিনজিং
সারাদিনের ধুলাবালি মুখে লেগে থাকায় রাতের বেলা ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করা উচিত। প্রথমে ভালো মানের তেলযুক্ত মেকআপ রিমুভার নিয়ে নিন। ৩০-৩৫ সেকেন্ড আলতো করে মুখে ম্যাসাজ করুন। ভেতর থেকে বাহিরের দিকে গোল গোল করে পরিষ্কার করে নিন। এতে ত্বকে লেগে থাকা ধুলা, তেল ও মেকআপ ভালোভাবে বের হয়ে আসবে।
মাস্ক
সপ্তাহে ২-৩ দিন মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ। এতে ত্বক পরিপুষ্ট হয়। কৃত্রিম বা ঘরে তৈরি যেকোনো মাস্ক দু’মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখা উচিৎ। এতে ত্বকের কোষে অক্সিজেনেট করে ত্বককে পুষ্টি প্রদান করে।
চিকিৎসা
সিরাম ব্যবহার করুন। নির্দিষ্ট ত্বকের সমস্যার দূর করতে সিরাম বেশ কার্যকর। হাইড্রেশন, বার্ধক্যের ছাপ, পিগমেন্টেশন নিয়ন্ত্রণ বা সুরক্ষা নিশ্চিত- সব ক্ষেত্রেই সিরাম উপকার করতে পারে।
ময়েশ্চারাইজার
ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য নাইটক্রিম বেশ উপকারী। ত্বকের সুরক্ষায় আরেক ধাপ কার্যকারিতা প্রদান করে এটি। গলা থেকে শুরু করে উপরের দিকে অল্প অল্প করে সারা মুখে ক্রিম মাখিয়ে নিন।
ঔজ্জল্য
শেষ ধাপ হলো ফেইস ওয়েল ব্যবহার করা। এর অনেক উপকারিতা আছে। স্কিনটোন ইভেন হয়, নমনীয়তা বাড়ে এবং ত্বক স্থিতিশীলও হয়।
দিনে ও রাতে আলাদা কসমেটিকস ব্যবহারের কারণ ও উপকারিতা
>>দিনের বেলায় ত্বককে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সূর্যরশ্মি, ধুলাবালি, রুক্ষতাসহ নানাকিছু। তাই দিনের ক্রিম আলাদা হয়। ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি করতে এসপিএফ সমৃদ্ধ ক্রিম ত্বকে সুরক্ষা বেষ্টনি প্রদান করে। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এতে ত্বক কোমল থাকে।
>>রাতে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে রিপেয়ার হওয়া শুরু হয়। এর গতিকে আরও বাড়াতে একটি ভালো নাইটক্রিম ব্যবহার করা উচিৎ। যা ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলির উন্নতি, স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো এবং ত্বকের বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।