করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। ভাইরাসটিতে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। এখন নিয়ন্ত্রণে কোভিড-১৯। তবে সম্প্রতি তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। করোনাকালীন সময়ের প্রভাবে বাহুর হাড়ের মোট খনিজের ঘনত্ব এবং শরীরে খনিজ উপাদানের পরিমানে প্রভাব পড়েছে।
মহামারীর আগে ও পরে কিছু মানুষকে পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে স্লোবাকিয়ার কমেনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তারা মনে করেন, করোনা পরবর্তীতে তরুণদের হাড়ে খনিজ উপাদান হ্রাস পেয়েছে। তখনকার জীবনযাপন পদ্ধতি কম বয়সী যুবকদের শরীরের নিচের অংশের হাড়ে খনিজের পরিমাণ দিয়েছে।
করোনার ফলে মানুষের জীবনযাপনের ধারণে এসেছিল ব্যাপক পরিবর্তন। দীর্ঘদিনের অস্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য স্বাস্থ্যে পড়ে নেতিবাচক প্রভাব।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তরুণদের হাড় ক্ষয় হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। গবেষণার জন্য ৩৮৭ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নেওয়া হয়েছিল। মহামারির আগে ও পরে তাদের অস্থির উপর পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত করোনাকালীন সময়ে ৩৮৬ জনের হাড় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে । প্রত্যেকেই একবার করে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।
আমেরিকান জার্নাল অফ হিউম্যান বায়োলজিতে গবেষকরা জানিয়েছেন, মহামারী পরবর্তী সময়ে তাদের অস্টিওপরোসিস ও হাড়ে ক্ষয় নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন তারা। কিন্তু তাদের আরও গবেষণা করে তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন ছিল।
‘মহামারী সম্পর্কিত আমরা আরও গবেষণা করবো। অল্প বয়সীদের টিস্যু হ্রাস ও হাড়ের খনিজ উপাদান ক্ষয়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’- জানিয়েছেন কমেনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহ-লেখিকা ডরিনা ফালবোভা। করোনার প্রভাবে এরকম আরও কোনো দীর্ঘকালীন লক্ষণ ধরা পড়ে কিনা তা নিয়ে গবেষকরা চিন্তিত।