ভাত এমন একটি খাবার যা আমাদের সবার বাড়িতেই রান্না করা হয়। মাছে ভাতে বাঙালি হলেও প্রতিদিন ভাত রান্নার সময় চাল ধোয়া পানি ফেলে দেন অনেকেই। তবে জানলে অবাক হবেন ভাতের চেয়ে চাল ধোয়া পানিতে রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ। বিশেষজ্ঞরাও তাই বলছেন, চালের চেয়ে চালের পানিতে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। আপনি যদি এখন এই ভুল করে থাকেন, তাহলে জেনে নিন চালের পানির উপকারিতা।
চালের পানিতে রয়েছে জাদুকরী ওষুধ। এটি স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী। এটি শক্তি বাড়ায় এবং শরীরে পুষ্টি জোগায়। এটি কার্বোহাইড্রেট এবং স্টার্চ সমৃদ্ধ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ত্বকের যত্নে চাল ভেজানো পানি
চাল ভেজানো পানি দিয়ে নিয়মিত মুখ ধুলে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়।
শীতকালে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়। চাল ধোয়া পানি ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে। দীর্ঘ সময় বাইরে থাকলে ত্বক লাল হয়ে যায়। সেই লালভাব কমাতে সাহায্য করে চাল ধোয়া পানি।
তৈলাক্ত ত্বকে উপকার
অনেকের ত্বক তৈলাক্ত হয়। সেই ত্বকেও সমানভাবে কাজ দেয় চাল ধোয়া পানি। এই পানি ত্বকের উপর হালকা সাদা আভা এনে দেয়। নিয়মিত পরিচর্যা ত্বক আরও সুন্দর হয় এতে।
চুলের যত্নে চালের পানি
চালের পানি দিয়ে চুল ধোয়া হলে দিন কয়েকেই অনেক সমস্যা কমে যায়। চুল ঘন ও মসৃণ হয়। চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। একইসাথে চুলের স্বাস্থ্য ভাল হয়।
শীতকালে প্রায়ই চুলের ডগা ফেটে যায়। তাছাড়া গোড়াও দুর্বল হয়ে যেতে পারে আবহাওয়ার কারণে। এই দুই সমস্যারই সমাধান করে চাল ধোয়া পানি। গোড়া শক্ত করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এই পানি।
এছাড়াও প্রস্রাবের সমস্যায় চাল ভেজানো পানি খুব কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।
চিকিৎসকের মতে, চালের পানি শীতল প্রকৃতির। তাই প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, পাতলা পায়খানা, রক্তক্ষরণের ব্যাধি এবং পিরিয়ডের ক্ষেত্রে এটি উপকারী। এছাড়াও, এটি তালু এবং তলায় জ্বালাপোড়া কমায়।
তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার