বঙ্গ নারীর কি শাড়ি ছাড়া চলে! গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা শীত- যেকোনো মৌসুমেই বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোতে মেয়েদের প্রথম পছন্দ থাকে শাড়ি। শীতের সময় বাইরে বের হলেই জেঁকে বসে হাড় কাঁপানো উত্তরে হাওয়া। তাই কাপড় যত মোটা হবে ততই শীতকালে আরামদায়ক হবে। কনকনে শীতের মধ্যে গরমকালের মতো করে শাড়ি পরা কিছুটা ভোগান্তিরও বটে!
পোশাক পরার মূল উদ্দেশ্য লজ্জা নিবারণ হলেও এর আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো- বাইরের ক্ষতি থেকে দেহকে সুরক্ষা প্রদান এবং ফ্যাশন। নিজের রুচি ও সৌন্দর্যকে প্রকাশ করতে সবাই নিজস্ব ফ্যাশন মেনে চলে। যেন বৈরি আবহাওয়ায় শরীরকে রক্ষা করা যায়; সেজন্য শীতকালেও এই দুই উদ্দেশ্য বজায় রেখে পোশাক পড়ার কিছু কৌশল মেনে চলা যায়। আবার, নিজেকে প্রেজেন্টেবল করেও পরিধান করা যায় শাড়ি।
১. শাল: অন্য যেকোনো পোশাকের চেয়ে শাড়ির সাথে শাল সবচেয়ে বেশি মানায়। শাল হচ্ছে বাঙালির ঐতিহ্য বজায়কারী শীতের পোশাক। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন নকশী কাজের শাল নারীরা শাড়ির সাথে পড়ে থাকে। তবে এখন অনেক আধুনিক ডিজাইনেরও শাল বাজারে রয়েছে। কাঁধের এক পাশে শাল সুন্দর করে রাখতে পারেন। এর সাথে একপ্রান্ত কোমড়ের কাছেও গুজতে পারেন। অথবা ঘুরিয়ে এনে দু’পাশে কাঁধে জড়িয়ে হাতের কাছে প্রান্ত দু’টি ভাঁজ করে রাখতে পারেন। আবার পুরো শালটিকে ২ বা ৩ ভাঁজ দিয়ে ওড়নার মতো করে পিন করে নিলেও ফ্যাশনেবল লাগে।
২.কোট: শাড়ির ওপর রঙের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরে নিতে পারেন কোট বা ব্লেজার। পরার জন্য বেছে নিতে পারেন লং বা শর্ট যেকোনো সাইজের কোট। হালকা শীতের সময় পরতে পারেন শ্রাগও। কালার ম্যাচিং করে বা কন্ট্রাস্টেও পড়তে পারেন। এক রঙা বা প্রিন্টের কোট দু’টিই শাড়ির সাথে মানানসই হতে পারে।
৩.হাইনেক সোয়েটশার্ট বা স্কিভি: শাড়ির শুধু উপরেই গরম কাপড় পরবেন তেমনটা নয়। সোয়েটার স্টাইল করে পড়তে পারেন ব্লাউজের বিকল্প হিসেবেও। এর জন্য শীতের প্রকোপ অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন ফুল হাতার টিশার্ট বা স্কিভি। উলের ক্রপ সোয়েট টপ পরতে পারেন ব্লাউজের পরিবর্তে। লম্বা সোয়েটারগুলো পেটিকোটের নিচে গুজে শাড়ির উপরের পাড় দিয়ে কায়দা করে ঢেকে রাখতে পারেন।
তথ্যসূত্র:পপজো