কথায় আছে- ‘প্রথমে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারি।’ যেকোনো কাজে সফল হওয়ার পূর্বশর্ত হলো পরিকল্পনা করে সব গুছিয়ে নেওয়া। ম্যানেজমেন্ট গুণ কতটা উন্নত, তার প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে উপস্থাপনায়।
নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে প্রতিদিন আমরা কত কিছুই না করি। টুকটাক রূপচর্চা সকলেই করে। বেশিরভাগ মানুষই অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানদের পরামর্শ সরাসরি নেন না। বরং নিজেদের সুবিধার ভিত্তিতে কিছু ঘরোয়া রূপচর্চা গুছিয়ে নেন। তবে, এসব করতে গিয়ে ত্বকের ভালো না করে বরং ক্ষতি করছেন না তো?
১. জনপ্রিয় অনেক প্রসাধনীতেই বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান থাকে। যা মানুষ না জেনেই ব্যবহার করে। কারণ তারা ব্যবহার করার আগে বিদ্যমান উপাদান সম্পর্কে ঠিকমতো খোঁজখবর নেয় না। এসবের কারণে ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া ত্বকে এলার্জি ও চুলকানির কারণও হতে পারে।
২. চুলকে স্টাইল করতে বা পানি শুকাতে হেয়ার স্ট্রেটনার ও ড্রায়ার ব্যবহার করা খুবই সাধারণ ঘটনা। তবে প্রতিদিন এসব ব্যবহার করতে থাকলে গরম তাপের কারণে চুল দুর্বল হতে থাকে। ফলস্বরুপ দেখা যায় চুল পড়ে যাওয়া, ভেঙ্গে যাওয়া ও ড্যামেজের মতো সমস্যা।
৩. সুন্দর স্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য অনেকেই ডায়েট করেন। কিন্তু অতিরিক্ত ডায়েট করে না খেয়ে থাকা থাকার অভ্যাস শরীরে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রদানে বাধা প্রদান করে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং ম্যালনিউট্রেশন ও দুর্বলতা দেখা যায়।
৪. সৌন্দর্যের সংজ্ঞা মানুষ ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেকেই নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করতে কৃত্রিমভাবে চিকিৎসা করান। যেমন, নেইল ও আইল্যাশ এক্সটেনশন এবং কেমিক্যাল বিউটি ট্রিটমেন্ট। অবশ্যই এসবের ক্ষেত্রে ভালো অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কোনো ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি সম্পূর্ণভাবে না এড়িয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত নয়।
৫. রোদের অতিবেগুনী রশ্মি (ইউভি) ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। ত্বকের ডিএনএর ক্ষতি, ক্যান্সার, চামড়া ঝোলার মতো নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ত্বকে টোনার ব্যবহার করা হয়। তবে এই টোনারের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া