শরীরের সব কার্যক্রম সমতায় চলে। দিনশেষে যেমন বিশ্রাম প্রয়োজন, তেমন দৈনিক কাজের ফাঁকে কিছু পরিশ্রমও করতে হয়। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত। সব বয়সী মানুষের জন্য ‘দৌড়ানো’ একটি ভালো ব্যায়াম।
দৌড়ানোর ফলে শরীরের অনেক উপকার হয় । তবে অনেকের ধারণা, ওজন কমাতে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দৌড়ানো উচিত। যা পুরোপুরি ঠিক নয়। যদিও দীর্ঘমেয়াদী ওজন কমানো পরিকল্পনায় দৌড়ানো বিশেষ উপকার করে। তবে ওজন কমাতে প্রথম করণীয় হচ্ছে খাদ্যতালিকার সংস্করণ। ব্যায়াম এবং দৌড় ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত হৃদকার্যের উন্নতিতে দৌড় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।
ভারতীয় ফিটনেস এক্সপার্ট (স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ) গরিমা গয়াল। তার মতে, ওজন কমাতে বিপাকের জটিলতা, ক্যালরি গ্রহণ এবং ব্যায়াম ও ডায়েট সম্মিলিতভাবে কাজ করে। ওজন কমানোর কিছু উপদেশ দিয়েছেন তিনি-
শক্তি সমতা
ক্যালরি কতটা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং কতটা ক্ষয় হচ্ছে- তার অনুপাত, ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। দৌড়ালে ক্যালরি ক্ষয় হয় বটে। তবে দৌড়ের গতি, সময়কাল ও ফ্রিকুয়েন্সির উপর তা নির্ভর করে।
অভিযোজন
শরীর খুব দ্রুত অভিযোজন করে ফেলতে পারে। প্রতিদিন একই ভাবে দৌড়ালে একসময় শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায়। এতে ওজন কমার গতি শিথিল হতে শুরু করে। এজন্য দৌড়ের ও ব্যায়ামের রুটিনে বৈচিত্র্য রাখতে হবে।
ক্ষুধা
দৌড় ও ক্ষুধার মধ্যের সম্পর্ক ওজনে প্রভাব ফেলে। অনেকের ব্যায়াম করার পরেই ক্ষুধা পায়। এতে ক্যালরি ক্ষয়ের চেয়ে গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই দৌড়ের পর যা খাবেন, তার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
মানসিক প্রভাব
‘ওজন কমানো’- শারীরিক প্রক্রিয়া হলেও, দীর্ঘকালীন আচরণ পরিবর্তন করতে সক্ষম। ওজন কমানোর ব্যাপারে অধিক উৎসাহ ডায়েট্রি প্যাটার্ন ও জীবন-যাপনের ধরণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। ভেবে-চিন্তে খাওয়া, ভালো ঘুম এবং মানসিক বিষাদমুক্ত থাকা ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
স্বতন্ত্র পরিবর্তন
ওজন কমাতে যা করণীয়- তা ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হয়। বয়স, জেনেটিক, হরমোনের তারতম্য এবং শারীরিক জটিলতা ও অসুস্থতা-র উপর অনেকটা নির্ভর করে। ফলে প্রত্যেকের ব্যায়াম ও দৌড়ানো- ওজন কমাতে ভিন্ন প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস