নবজাতব শিশুর ত্বক খুব নমনীয় হয়। তাই তাদের যত্নে বিশেষ যত্ন রাখতে হয়। যত্নের পাশাপাশি শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু সাবধানতাও অবলম্বন করা উচিত। শিশুকে সুরক্ষা প্রদান করতে, নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করুন:
মায়ের বুকের দুধ: যত বেশি সম্ভব, শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ান। এএপি-এর মতে, বুকের দুধ নবজাতককে পুষ্টি প্রদান করে। এতে শিশুর শরীর সংক্রমণের প্রতিরোধে লড়াইয়ের সূচনা করতে প্রস্তুত হতে পারে। মায়ের দুধে অ্যান্টিবডি, প্রোটিন, চর্বি, শর্করা এবং এমনকি শ্বেত রক্তকণিকা রয়েছে। যা শিশুর সার্বিক শারীরিক গঠনে ভূমিকা রাখে।
হাত ধোয়া: নবজাতক শিশুর প্রতিটি কাজ করার আগেই হাত ধুয়ে নিন। এবং শিশুর আশেপাশে যারাই আসবে তাদের সবাইকেই বাধ্য করুন। দর্শনার্থীদেরও হাত ধোয়ার জন্য জোর দিন। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই যেকোনো রোগ জীবানুই তাদের জন্য ক্ষতিকর। শিশুর জন্য ব্যবহার করা প্রতিটি কাপড়, বাসন ও অন্যান্য জিনিস ধুতেও জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন। এছাড়াও শিশু বড় হওয়ার সময় সবাইকে হাত ধুতে দেখলে তারও এই অভ্যাস গড়ে উঠবে।
ভিড় এড়িয়ে চলুন: নবজাতক শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়া ভালো। প্রাকৃতিক পরিবেশের সংস্পর্শে থাকতে সূর্যের আলো এবং খোলা বাতাস পাবে শিশু। তবে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে যেখানে কাশি এবং হাঁচি থাকতে পারে।
টিকাদান: সময়ের সঙ্গে গুরুতর রোগ থেকে মুক্তি নিশ্চিত করতে টিকাদান করান। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নবজাতকের টিকাদানের সময়সূচি জানুন। প্রযোজ্য হলে শিশুকে কোভিড-১৯ এর টিকা দিয়ে রাখুন।
দর্শকদের সীমাবদ্ধতা: নবজাতকে দেখতে সাধারণত অনেক অতিথি আসে। সম্ভব হলে, খুব কাছের বন্ধু এবং পরিবার বাদে শিশুর কাছাকাছি কাউকে আনবেন না। বড় বাচ্চাদের কাছাকাছিও শিশুদের কম রাখা ভালো ।
তথ্যসূত্র: হ্যাপিয়েস্ট বেবি