‘ওরো লিনো’ এবং ‘গল্প বাই এনা খান’, স্বপ্নপ্রবণ দম্পতি মনিরুজ্জামান খান এবং এনা আহমেদ খানের সৃজনশীল প্রচেষ্টা। ফ্যাশন জগতের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বনানী ক্লাব ব্যাঙ্কোয়েট হলে একসঙ্গে ব্র্যান্ড দুটির উদ্বোধন করা হয়।
‘লিনেন ফ্রম গোল্ড’-এই মূলনীতিকে প্রতিপাদ্য করে ওরো লিনো’র লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন অনুরাগীদের জন্য সোনার মত মূল্যবান স্বাচ্ছন্দ্যের যোগান দেওয়া এবং অতুলনীয় সোনার সঙ্গে লিনেনের কালজয়ী বিলাসিতাকে নির্বিঘ্নে একত্রিত করে বৈশ্বিক ফ্যাশন জগতে বিপ্লব ঘটানো।
অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনকালে ওরো লিনোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান খান বাংলাদেশী ব্র্যান্ডগুলোকে বৈশ্বিক মঞ্চে স্থান দিতে তার অটল অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি আক্ষেপের সঙ্গে প্রশ্ন করেন, ‘কেন বাংলাদেশী একটি ব্র্যান্ড বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে স্থান পায় না?’ ওরো লিনোকে তিনি সত্যিকারের বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড তৈরির দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।
ওরো লিনো একটি বাংলাদেশী ব্র্যান্ড, যেটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ফ্যাশন ব্র্যান্ডের শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করবে। ওরো লিনো একটি বিশ্বমানের ব্র্যান্ড পরিচয় তৈরি করবে, যা সারাবিশ্বের ফ্যাশন উৎসাহীদের সঙ্গে অনুরণিত হবে।
ওরো লিনো এবং গল্প বাই এনা খান-এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এনা আহমেদ খান ব্রান্ডটির পেছনে তার হৃদয়গ্রাহী অনুপ্রেরণা শেয়ার করেছেন। তিনি প্রতিটি সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের সৌন্দর্য প্রদর্শনে তার ইচ্ছার উপর জোর দিয়েছেন। এই ব্রান্ডের মাধ্যমে নিরবধি গল্প বলার এবং জাতিগত ঐতিহ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতি ও হস্তশিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরার প্রয়াস ব্যক্ত করেন তিনি।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান মনিরুজ্জামান খানের অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হয়। তারপরে একটি মনোমুগ্ধকর র্যাম্প শো’তে ওরো লিনো এবং গল্প বাই এনা খান-এর সংগ্রহ প্রদর্শন করা হয়।
পোশাকগুলোর প্রতিটি টুকরো ঐতিহাসিক যুগ, মিশরীয় সৃষ্টি এবং প্রকৃতি-অনুপ্রাণিত থিমের গল্প প্রদর্শন করেছে, যা কারুশিল্প, উদ্ভাবন এবং ফিউশন ফ্যাশনের প্রতি ব্র্যান্ডের উত্সর্গকে প্রতিফলিত করে।
ওরো লিনো পোশাকের লাইনে রূপান্তরিত হয়ে দর্শকদেরকে ফ্যাশনের আধুনিক ব্যাখ্যায় আন্তঃসীমান্ত ফিউশন টুইস্টকে কাজে লাগিয়েছে। ফ্যাশনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং বিশ্বব্যাপী শৈলী উৎসাহীদের একটি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য ওরো লিনোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা পুরো শোকেসজুড়ে স্পষ্ট ছিল।
মনিরুজ্জামান খান লন্ডন, টোকিও, সান ফ্রান্সিসকো, সিউলের মত আইকনিক শহরগুলোর পাশাপাশি ঢাকাকে পরবর্তী ফ্যাশন রাজধানী হিসাবে কল্পনা করেছেন।
তিনি ওরো লিনো পণ্যগুলোকে সহজলভ্য করতে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে সমন্বিতভাবে এই বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করার জন্য বাংলাদেশী ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিলাসিতা, ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবনের সমন্বয়ে বিশ্বফ্যাশন শিল্পে একটি স্বতন্ত্র চিহ্ন খোদাই করে ওরো লিনো এবং গল্প বাই এনা খান-একটি অসাধারণ যাত্রা শুরু করে, যা বাংলাদেশের ফ্যাশন শ্রেষ্ঠত্বের একটি নতুন যুগকে অনুপ্রাণিত করবে।