দেখতে আকর্ষণীয় ও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল ড্রাগন। এ ফল বিদেশি হলেও এখন দেশেই এর চাষ হচ্ছে। দিনদিন সবার কাছে এ ফল বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে।
লাল টুকটুকে এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়।
পুষ্টি সমৃদ্ধ ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি-র পরিমাণ এতো বেশি থাকে যে, যা একটি কমলা ও তিনটি গাজরে একত্রে পাওয়া যায়।
ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল করে ও দাঁত সুন্দর করে।
ড্রাগন ফলে রয়েছে লাইকোপিন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে লাইকোপিন গ্রহণ করলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। তাই স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন একটি ড্রাগন ফল গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া ড্রাগন ফলে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন, যা আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সক্ষম। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন একটি ড্রাগন ফল খান তাহলে এনিমিয়া থেকে অনেকাংশে দূরে থাকতে পারবেন।
ড্রাগন ফলে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ড্রাগন ফল খারাপ কোলেস্টেরলকে দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে এবং ভালো কোলেস্টেরলকে উন্নত করে। ড্রাগন ফলে যেহেতু কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের পরিমাণ কম তাই ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসে এটি গ্রহণ করতে পারবেন। এতে কোনোরকম সুগার লেভেল ফল করবে না।
এছাড়াও ড্রাগন ফলে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই এটি দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলে প্রচুর জলীয় অংশ থাকায় এই ফল খেয়ে সুস্থ ও সজীব থাকা যায়। তাই ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ করার জন্য ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।