শিশুরা ছোট ছোট কাজে মন দিতে পারছে না, নতুন জিনিস শিখতে পারছে না- এরকম সমস্যা হয়তো অনেক শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। বয়স কম বলে হয়তো অসেক বাবা মাই এসব ব্যাপারে অতোটা গুরুত্ব দেন না। তবে, ছোটবেলার এসব লক্ষণই হয়তো দ্রুত স্ট্রোক করার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণার প্রকাশ করা ফলাফলের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
‘জার্নাল অব এপিডেমিওলজি এন্ড কমিউনিটি হেলথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে; যেখানে বলা হয়, ৫০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেও স্ট্রোক করার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে মানসিকভাবে অদক্ষ শিশুদের হৃদরোগ এবং মেটাবলিজম সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি বেশি। হেব্রু ইউনিভার্সিটির কিছু বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে ১৬ থেকে ২০ বছর বয়েসি ১৭.৪ লাখ ইহুদিদের সামরিক পরিষেবা প্রদানের আগে তাদের উপর এই গবেষণা করা হয়।
তাদের ওজন, রক্তচাপ, ডায়াবেটিকের স্থিতি এবং শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক বিষয় বিবেচনা করে এই পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তাদের মানসিক ক্ষমতা যাচাই করা হয়, বিশেষ করে একাগ্রতা, যুক্তি এবং সমস্যা সমাধান।
১৯৮৭ এবং ২০১২ সাল মধ্যবর্তী সামরিক তথ্যের রেকর্ড মূল্যায়ন করে ইসরায়েল তাদের পুরো দেশে স্ট্রোক আর ডাটাবেসে আক্রান্ত রোগীর সাথে তুলনা করে। এই রিপোর্টিং ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল এবং সব সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য রীতিমতো বাধ্য করা হয়েছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত, গবেষণার অংশে থাকা প্রতিটি ব্যক্তির প্রথমবার স্ট্রোক হওয়া বা মৃত্যুর তথ্যকে বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা সম্পন্ন করা হয়।
কম থেকে মাঝারি মানসিক ক্ষমতা সম্পন্ন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে (বুদি্ধমত্তা বা আইকিউ ১১৮ পর্যন্ত) স্ট্রোক করার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। এরা ৫০ বছর বয়সে পরিণত হওয়ার আগেই প্রথম স্ট্রোকের সম্মুখীন হয়েছেন। উচ্চ আইকিউ অর্থাৎ, ১১৮ এর বেশি তাদের চেয়ে ২.৫ গুণ বেশি স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা।
২০১৪ থেকে ১৮ সাল, এই ৫ বছরে মোট ৯০৮ টি স্ট্রোকের তথ্য পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ৭৬৭ জন রক্ত জমাট বাঁধার কারণে স্ট্রোক করেন। তাদের মধ্যে শতকরা ৪১ ভাগ ব্যক্তির বয়স অনূর্ধ্ব ৪০ বছর ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি, মধ্যম আইকিউ সম্পন্ন ব্যক্তিরা অন্তত ২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আবার, তাদের মধ্যে যাদের কিশোর বয়সে মানসিক বিকাশ কম হয়েছে তাদের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস