এই গ্রীষ্মে সামনের দিনগুলোতে রোদ প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি পাবে আরও অনেকটা। রোদের মধ্যে বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মনে করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে তবেই বের হতে হবে। নতুবা ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বেড়ে দেখা দিবে।
গরমের এই অনুষঙ্গটি কেনা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চান ক্রেতারা। সবার সুবিধার জন্য এই ফিচারে তেমন কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিষয় তুলে ধরা হলো।
সানস্ক্রিন কেনার আগে প্রথমেই দেখে নিতে হবে যে সানস্ক্রিনটি কেনা হচ্ছে তার গায়ে ‘ব্রড স্পেকট্রাম' কথাটা লেখা আছে কিনা। লেখা থাকলে বুঝতে হবে সানস্ক্রিনটি ত্বককে দুইরকম রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারবে।
যে কোন সানস্ক্রিনের ক্ষেত্রে এসপিএফ (SPF) এর পরিমাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসপিএফ হল ইউভিবি রশ্মি প্রতিরোধের মাপ। আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে রোদের তাপমাত্রা থাকে তুলনামূলক অনেক বেশি। এ সময়ে সানস্ক্রিন কেনার সময় অবশ্যই এসপিএফ এর মান ৫০ এর বেশি কি না দেখে নিতে হবে। বিশেষত যারা প্রতিদিন বাইরে যাতায়াত করেন তাদের ক্ষেত্রে ৫০ এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে।
ক্রিম কিংবা পাউডার সানস্ক্রিনগুলো ওয়াটারপ্রুফ হয় না। অতিরিক্ত ঘামে, পানির স্পর্শে খুব সহজেই এই সানস্ক্রিনগুলো ত্বক থেকে উঠে যায়। যার ফলে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর বড়জোর দুই ঘন্টা এটি ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে পারে। যে কারণে প্রতি দু’ঘন্টা অন্তর ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
কতটা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এটা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন। একজন প্রাপ্তবয়স্কর শরীরের যে সকল অংশে রোদের আলো প্রভাব ফেলতে পারে, সে সকল অংশে ৩০ গ্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেই উপকার পাওয়া যাবে। মুখের ত্বক, গলা, ঘাড়, হাত ও পায়ের পাতা সকল উন্মুক্ত স্থানেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
সানস্ক্রিন কেনার ক্ষেত্রে ত্বকের ধরণ বুঝে তবেই সানস্ক্রিন নির্বাচন করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে জেল বা পাউডার সানস্ক্রিন নিতে হবে। ত্বক যদি তৈলাক্ত বা শুষ্ক কোনওটাই না হয়ে সাধারণ ত্বক হয় তবে লোশন জাতীয় সানস্ক্রিন কিনতে হবে।
শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। শরীরের অন্যান্য ত্বকের থেকে মুখের ত্বক তুলনামূলক পাতলা হয়। তাই মুখের জন্য বেশি যত্ন প্রয়োজন। সানস্ক্রিন যেমনই হোক না কেন, রোদে বের হওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তি ব্যবহারের অপরিহার্য কিছু নিয়মনীতি
আরও পড়ুন: মোবাইলের আয়ু কমছে যে সব কারণে