ঘূণিঝড়ের সময়ে সতর্কতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঘূণিঝড়ের সময় করণীয়

ঘূণিঝড়ের সময় করণীয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। উপকূল অঞ্চলগুলোতে ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি আর উত্তাল ঢেউয়ের প্রকোপ। কিছু অঞ্চলে পানি ও বাড়তে শুরু করেছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করার পরও অনেকে নির্বিকার। ঘূর্ণিঝড়ের এমন সংকটময় মুহূর্তে সাবধান হতে হবে সকলকে। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে কি করতে হবে জেনে নিন-

১. মোবাইল, টিভি সহ অন্যান্য গণমাধ্যম থেকে নিজ এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন। বিদ্যুৎ সংকট হলে রেডিও থেকে খবর নিন। অথবা এলাকায় প্রচার করা সতর্ক বাণী মনেযোগ দিয়ে শুনুন।  

২. নিজের পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সতর্কতা সম্পর্কিত তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন। ঘূর্ণিঝড়ের জরুরি অবস্থার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকুন। বৈদ্যুতিক জিনিসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখুন। 

৩. বিপদে বিচলিত হওয়া যাবে না। অন্যদের কাছে নিজ অবস্থানের তথ্য পাঠান। গুজব উপেক্ষা করুন এবং এধরনের খবর রটানো এড়িয়ে চলুন। এতে বিপদের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত আতঙ্ক সৃষ্টি এড়ানো যাবে।

৪. শুধুমাত্র অফিসিয়াল তথ্য বিশ্বাস করুন। আপনার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা চালু থাকলে স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যান। পাশাপাশি রেডিওসহ অন্যান্য মাধ্যমে সতর্কবাণী প্রচারে খেয়াল রাখুন। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আনুমানিক বিপদ পরিস্থিতি জেনে নিন।

৫. উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মহাবিপদ সংকেত দিয়ে সতর্কতা দেওয়ায় নিচু সৈকত বা উপকূল থেকে দূরে সরে যান। উঁচু জমিতে বা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন।

৬. উপকূল এবয় বন্দর অঞ্চলে যাদের বাড়ি নিরাপদে উঁচু জমিতে তারা বাড়িতেই অবস্থান করুন। যদি বাড়ি খালি করতে বলা হয় তবে অতিসত্তর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দ্বিধা করবেন না।

৭. সেসব অঞ্চলে যাদের বাড়িতে কাঁচের জানালা ও দরজা আছে তারা বোর্ড দিয়ে আগলে বা শাটার লাগিয়ে রাখুন। বাইরে থেকে আড়াল করার শক্তিশালী বিকল্প মাধ্যম থাকলে তাও ব্যবহার করতে পারেন। নয়তো ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে কাচের জানালা ভেঙে আরও বড় বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

মহাবিপদ সংকেতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন

৮. ঢেকে রাখা যায় এমন পাত্রে যথাসম্ভব অতিরিক্ত খাবার এবং পানীয় জল সংরক্ষণ করুন। প্রয়োজনে যেন বহন করা যায় সে ব্যবস্থা করে রাখুন।

৯. হারিকেন, লণ্ঠন, টর্চ মোম বা অন্যান্য জরুরী বাতি ধরনের জিনিস হাতের কাছে রাখুন। প্রয়োজনীয় জিনিস বহনযোগ্য শক্তিশালী পানিপ্রতিরোধক ব্যাগে প্যাক করুন। ওষুধ, শিশু বা বয়স্কদের জন্য বিশেষ খাবার, শুকনো খাবার, ব্যাটারি, চার্জার সহ অন্যান্য জিনিস সংগ্রহ করে রাখুন।

১০. বন্যা বাড়ি ছাড়তে হলে মূল্যবান জিনিস বাড়ির উপরের তলায় নিয়ে যান। ছোট এবং আলগা জিনিস, যা প্রবল বাতাসে উড়তে পারে, ঘরে নিরাপদে সংরক্ষণ করা উচিত।

১১. ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে না যাওয়া অবধি বাতাস শান্ত হয়ে গেলেও বাইরে বেরোবেন না। বিরূপ পরিস্থিতিতে আগে জীবন বাঁচানোর চিন্তা করুন। সহায়-সম্পত্তি নিয়ে হাহাকার করা বোকামি। আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা  যতক্ষণ না আপনাকে চলে যাওয়ার জন্য জানানো হয় ততক্ষণ আশ্রয়কেন্দ্রেই অবস্থান করুন।

 তথ্যসূত্র: এনডিএমএ

   

নিত্যদিনের চোখ সাজাতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চোখের সাজ

চোখের সাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

অধিকাংশ নারীর সাজগোজের প্রতি বিশেষ ঝোঁক থাকে। বিয়ে হোক বা কোনো পার্টি, অথবা দৈনন্দিন কাজে বাইরে যাওয়ার সময়ও মেয়েরা সাজতে পছন্দ করে।  সাজগোজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চোখ, অর্থাৎ আইমেকআপ। দৈনন্দিন চোখের মেকআপকে আকর্ষণীয় করার কিছু টিপস প্রকাশ করেছেন ভারতীয় মেকআপ আর্টিস্ট ময়ূর শর্মা-

আইভ্রু: ভ্রু চোখের সাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভ্রু সুন্দর করে গোছানো না থাকলে পুরো সাজটাই এলোমেলো দেখায়। তাই ভ্রুকে সুন্দর করে সাইজ করে নিতে হবে। প্রথমমতো ভ্রুকে একটা সুন্দর আকার দিন। এজন্য বেশ অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। সাজের সময় বিচ্ছিন্ন জায়গাগুলো ভরাট করুন। এইজন্য উন্নতমানে আইব্রো পেন্সিল, পাউডার বা জেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

মাশকারা: এমন কোনো নারী নেই যে, লম্বা ও ঘন চোখের পাপড়ি অর্থাৎ, ল্যাশ পছন্দ করেন না। এখনকার সাজগোজে নকল ল্যাশ পরারও বেশ প্রচলন রয়েছে। তবে প্রতিদিন তো আর সেসব ব্যবহার করা সুবিধাজনক হয় না। কলেজে, অফিসে বা প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার সময়ে সাজের ক্ষেত্রে ল্যাশের সাজও সাধারণ হয়। সেইক্ষেত্রে একটি ভালো মানের মাশকারা ব্যবহার করতে পারেন। শুকনো চোকের পাপড়ি তে এক কোট করে মাশকারার লেয়ার এপ্লাই করুন। অবশ্যই নিচ থেকে উপরের দিকে টানতে হবে। উপর থেকে নিচের দিকে মাশকারা এপ্লাই করলে ল্যাশগুলো ঝুঁকে থাকে।

ল্যাশকার্লার: চোখে ল্যাশ গোছানো থাকলে আইলুক পরিপূর্ণভাবে ফুটে ওঠে। অনেক সময় মাশকারা লাগানোর পর চোখের পাপড়িগুলো একটি অন্যটির সাথে লেগে থাকে। একটি নরম ব্রাশের ওয়ান্ড দিয়ে ল্যাশ আঁচড়ে নিন, যেন জোড়গুলো খুলে যেতে পারে। এরপর কার্লার ব্যবহার করে ল্যাশগুলোকে একটা সুন্দর আকার দিন। এতে দীর্ঘসময় পর্যন্ত ল্যাশগুলো টান-টান এবং গোছানো থাকে আর ঝুঁকে যায় না।

চোখের সাজ 

কাজল: কাজলচোখের নারী সবসময়ই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। নানান গল্প, গান, কবিতায় মায়াবী কাজল নয়নার প্রশংসা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কাজল তাই নারী সাজ-সজ্জার শীর্ষেই থাকে। এখন শুধু কালো নয়; নীল ,সবুজ, বেগুনি, বাদামী সহ নানান রঙের কাজল ব্যবহার করেন। চোখে যখন কাজল পড়বেন, আইলাইনে সুন্দর করে কাজল এপ্লাই করুন। তারপর এটি চিকন আইশ্যাডো ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে দিন। এতে কাজল কিছুটা পরিচ্ছন্নভাবে লেপ্টে থাকে। এতে মেকআপ লুকটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

পাউডার: প্রতিদিন খুব সাধারণ চোখের সাজের অন্তর্ভুক্ত হলো আইলাইনার এবং কাজল। এপ্লাই করার পর আইলাইন করার পর কিছুটা লুজ পাউডার ব্যবহার করুন। এতে কাজল ওয়াটারপ্রুফ হবে আর সহজে নষ্টও হবেনা। অবশ্যই নরম তুলির ব্রাশ ব্যবহার করুন। লুজ পাউডার না থাকরে , কমপ্যাক্ট পাউডারও ব্যবহার করা যেতে পারে।  

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

 

;

বর্ষার মৌসুমে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বর্ষার খাবার

বর্ষার খাবার

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।

ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’

কবিগুরুর কলমে সৃষ্টি কবিতা ‘আষাঢ়’- এর লাইনে বর্ষার অঝর ধারার বর্ণনা ফুটে ওঠে। অনবরত মেঘগলা আকাশের নেমে আসা ধারা সিক্ত করে মাটিতে থাকা সবকিছু। বর্ষার সময়টা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশ অনেকটা আলাদা। এই সময় রোদ-বৃষ্টিরপাল্লা চলে। ক্ষণে মেঘ, ক্ষণে বৃষ্টি! এইজন্য কখনো ভ্যাপসা গরম, কখনো বা স্যাঁতস্যাতে ভাব। আর বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা বাতাসে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই বর্ষার সময় সুস্থ থাকতে একটু সাবধান থাকতেই হয়।

আমাদের সুস্থতার অনেকাংশই নির্ভর করে খাদ্যতালিকার উপর। আমাদের গ্রহণ করা খাবারের দ্বারা উৎপন্ন শক্তিতেই দেহ চলে। তাই বর্ষার সময় খাবারের ব্যাপারেও সতর্ক হওয়া উচিত। অপ্রত্যাশিত রোগ বালাই এড়াতে বর্ষার মৌসুমে যেসব খাবার এড়িয়ে যেতে হবে তার উপদেশ দিয়েছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ গরিমাদেব বর্মণ-

১. শাকজাতীয় সবজি: পালং শাক, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদি শাক-সবজি বর্ষাকালে পুষ্টিমান হারিয়ে ফেলে। পরিবেশে আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে দূষণের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়া এসবের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী আশ্রয় নিতে পারে। তাই এসব খাবার খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২. রাস্তার খাবার: বর্ষার মৌসুমে রাস্তার খাবার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। প্রায় সব দোকানেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এইসব খাবার বানানো হয়। বর্ষার কাদামাটির কারণে রাস্তা এবং আশেপাশের এলাকা আরও অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।  এমনকি বাইরের দোকান থেকে কাটা ফলও খাওয়া উচিত নয়।

৩. সামুদ্রিক খাবার: এ মৌসুমে পানিবাহিত রোগ বাড়ে। তাই বর্ষায় সামুদ্রিক খাবার সহজেই দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। পুড পয়জনিং প্রতিরোধে সাগরের মাছ, চিংড়ি এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার এড়িয়ে চলুন।

৪. দুগ্ধজাত পণ্য: দুগ্ধজাত খাদ্য-পণ্য, যেমন-দুধ, দই এবং পনির আর্দ্র। আবহাওয়ায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  তাই দুধের তৈরি বাসি খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন। নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বা ঘরে তৈরি হলে ব্যবহার করতে পারেন।

৫. তেলে ভাজা খাবার: ডুবো তেলে ভাজা খাবার পেটে ভারী ভাব সৃষ্টি হয়। এই খাবারগুলো হজম করা কঠিন হতে পারে। তাই নাস্তা ভাজা খাবার এড়িয়ে  সেদ্ধ বা গ্রির করে খাবার তৈরিকে প্রাধান্য দিন।

৬. আমিষ: স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে মাছ এবং বিশেষ করে মাংস দ্রুত পচে যেতে পারে। তাই আমিষজাতীয় খাবার খেলে অবশ্যই সদ্য রান্না করা খাবার খাবেন। বাসি খাবার খেলে অসুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।  

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

নারীর চেয়ে পুরুষের হৃদরোগ ঝুঁকি বেশি!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পুরুষের হৃদরোগ

পুরুষের হৃদরোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি, যখন সুস্থ থাকা জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন মানুষের জীবনযাত্রার ধরন বদলেছে, একই সাথে বেড়ে চলেছে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা। আর কিছু বছর আগেও যেসব রোগ সাধারণত ষাটোর্ধ্ব মানুষদের মধ্যে দেখা যেত এখন তা মধ্যবয়সীদেরও গ্রাস করছে।
আশঙ্কাজনক হলেও সত্য যে, ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারীর পর থেকেই এই তথ্যচিত্র আরও স্পষ্ট হচ্ছে। মানুষের জীবন যাপনের রুটিন এমন হয়ে গেছে যে, হৃদয় খুব কম সময়েই দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে সমবয়সী নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে শুধু জীবনধারাই নয়; অতিরিক্ত চিন্তা করা, হাই কোলেস্টেরল এমনকি বংশগত কারণেও হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ছে। জেনে নেওয়া যাক, সেসব কারণ-
জীবনধারা: মূলত বর্তমান সময়ের জীবনধারা হৃদপিণ্ডে চাপ সৃষ্টি করে। আজেবাজে খাওয়া-দাওয়া, শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি, অতিরিক্ত ধুমপান এবং নেশাজাত দ্রব্য সেবন ইত্যাদি অভ্যাস হার্টের জন্য ভালো নয়। এসব হৃদপিণ্ডতে দুর্বল তো করেই বরং আরও অনেক রোগের বাসা বাঁধায়।
মানসিক চাপ: পারিবারিক, ক্যারিয়ারের চিন্তা, কাজের চাপ, আর্থিক দুশ্চিন্তা নানান কারণে কম বয়স থেকে অধিকাংশ পুরুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
মানসিক স্বাস্থ্য: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা তাদের মানসিক অসুবিধাগুলো নিয়ে উদাসীন থাকে। ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, মানসিক চাপগুলোর জন্য তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়না। দীর্ঘদিন এসবের প্রভাবে হাইপারটেনশন সৃস্টি হয়, যা হৃদরোগের সূত্রপাত ঘটায়।
কোভিড-১৯: করোনার প্রভাব পৃথিবীব্যাপী বিস্তারের পর অনেক ক্ষেত্রেই ছোট বড় পরিবর্তন এসেছে। এরমধ্যে একটি হলো, এখন হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে। বিশেষ করে অল্প বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ আশঙ্কাজনক। কয়েকজনের ক্ষেত্রে করোনার টিকা দেওয়ার পর মায়োকার্ডাইটিসের এমআরএনএ (প্রোটিনবহনকারী ম্যাসেঞ্জার আরএনএ)- এর বিরল রিপোর্ট লক্ষ্য করা গেছে।
নারীদের তুলনায় পুরুষ হৃদয়: মধ্যবয়স্ক নারীদের মধ্যে মেনোপজ পূর্ববর্তী ধাপে কিছু শারীরিক পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তনের কারণে তাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। অন্যদিকে একই বয়সী পুরুষদের মধ্যে সেই ঝুঁতি থেকেই যায়। তাছাড়া আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কারণে ধূমপান, মদ্যপানের সঙ্গে নারীদের সম্পৃক্ততা অনেকাংশে পুরুষের তুলনায় কম। এসকল কারণে পুরুষরা নারীদের তুলনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

যে কাজগুলো করলে বাড়বে হ্যাপী হরমোন মাত্রা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উৎফুল্ল মন / ছবি: নূর-এ-আলম

উৎফুল্ল মন / ছবি: নূর-এ-আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্তিষ্ক হলো শরীরের ইঞ্জিন। শরীরের যাবতীয় কাজ পরিচালনার  প্রক্রিয়া চলে ব্রেনে। হাত-পা চলা, ক্ষুধা লাগা, ব্যথায় কাতরানো; এমনকি দুঃখ বা আনন্দ অনুভব করার পেছনেও মস্তিষ্কের হাত রয়েছে। এক কথায় বলা যায়, আমাদের খুশি থাকার কলকাঠি নাড়ছে মস্তিষ্কই। 

এন্ড্রোফিন, ডোপামিন, অক্সিটোসিন, সেরোটোনিন - এরকম কিছু হরমোন আছে, যা হ্যাপী হরমোন নামে পরিচিত। এসব হরমোন নিঃসরণের কারণে আমরা আনন্দ অনুভব করি। যখন কোনো কারণে হ্যাপী হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় তখন আমরা প্রাণবন্ত থাকি।

কিছু শারীরিক ধারাবাহিকতায় এই হরমোনগুলোর নিঃসরণ মাত্রা বাড়ানো  যায়।  নিজেকে হাসি-খুশি এবং প্রাণচ্ছল রাখতে প্রতিদিন কিছু কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

আমাদের মেজাজ এবং ভালো থাকার অনেকাংশ নির্ভর করে শরীরের হরমোনগুলোর উপর।  খুশি থাকা মানে কেবল কোনো আনন্দঘন অনুষ্ঠান উপভোগ করা নয়। মনে আনন্দ থাকলে প্রতিদিনের সাধারণ কাজগুলোও উৎফুল্ল হয়ে করা যায়। তাই প্রতিদিন এমন কাজগুলো করতে হবে যা বেশি করে হ্যাপী হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াবে।

১. কৃতজ্ঞতা: দিনটি সুন্দরভাবে শুরু করতে পারেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই উপরওয়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আমাদের যা কিছু, তার কিছুই মূলত আমাদের নয়! স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। তাই আল্লাহর প্রতি কিছুটা সময় নিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রতিদিন প্রকাশ করা উচিত, এতে দিনের শুরু থেকেই ইতিবাচক মেজাজ এবং প্রভাব বজায় রাখা সম্ভব।

 উৎফুল্ল মন / ছবি: নূর-এ-আলম

২. ব্যায়াম: প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করা শরীর এবং মেজাজ দুটো ভালো রাখার ক্ষেত্রেই কার্যকর। কায়িক পরিশ্রম করলে শরীরে এন্ড্রোফিনের  নিঃসরণ বাড়িয় দেয়।

৩. সূর্যের আলো: প্রকৃতির মধ্যে যেমন আছে পবিত্রতা, তেমন শান্তি। তাই প্রকৃতির স্পর্শ মনকে উৎফুল্ল করে। সকালের স্নিগ্ধ রোদের আলো অনেক আরামদায়ক। প্রাকৃতিক এই আলোরশ্মির নানান শারীরিক উপকার ঘটাতে হাত রয়েছে। তাই অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য হলেও সকালে হাঁটতে বের হন। এতে কোমল রোদের ছোঁয়াও পাবেন, আবার ফ্রেশ অক্সিজেন সমৃদ্ধ মুক্ত বাতাসও পাবেন।

৪. ধ্যান:  সারাদিনের একগাদা কাজের হিসাব মাথার মধ্যে জমে থেকে দুশ্চিন্তা বাড়ায়। এতে হ্যাপী হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। তাই নিজেকে ভালো এবং হাসিখুশি রাখতে মনকে শান্ত করা প্রয়োজন। এর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ধ্যান বা মেডিটেশন। মেডিটেশনের মাধ্যমে গভীর শ্বাস গ্রহণ ও নিঃশ্বাস ত্যাগ করার চর্চা করুন। এতে শরীরও সুস্থ থাকে, আবার হ্যাপী হরমোন লেভেলও বাড়ে।  

 উৎফুল্ল মন / ছবি: নূর-এ-আলম

৫. খাদ্যাভ্যাস: খাবারের উপর মূলত আমাদের শরীরের চাল-চলনের অনেকাংশ নির্ভর করে। গ্রহণ করা খাদ্য উপাদানের ভিত্তিতে শরীরের ক্রিয়াকলাপ প্রভাবিত হয়। তাই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর এবং ফ্রেশ খাবার খাওয়া উচিত। খাদ্যতালিকায় ‍সুষম উপাদান থাকা নিশ্চিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে যেতে হয়। এছাড়া হ্যাপী হরমোনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ উপাদান সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো। তেলযুক্ত মাছ, শস্যজাত খাবার, আখরোট ইত্যাদি খাবার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় মেজাজ ভালো ও মস্তিষ্কে শান্তি বজায় থাকে। 

৬. সামাজিক সম্পর্ক: পরিবার-পরিজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। এতে মন ভালো থাকবে। বাড়তি চিন্তা থাকবে নাা আর আনন্দে থাকতে পারবেন। সকলের প্রতি দয়াবান হউন। কারো প্রতি রাগ পুষে রাখবেন না।

৭. গান: গান শোনা, মন ভালো করার এবং হ্যাপী হরমোন নিঃসরণের খুব সহজ একটি পদ্ধতি। পছন্দের গান শুনলে তা মেজাজে বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিজের পছন্দের গানগুলো বাছাই করে একটি প্লে-লিস্ট তৈরি করতে পারেন।   

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

;