আর সেটা যখন কোরবানির ঈদ, তখন সকালের নাশতা, দুপুর-রাতের খাবার কিংবা বিকালের নাশতা- প্রতিবেলাতেই মাংসের পদ অবধারিতভাবে থাকবেই।
হুট করে প্রচুর পরিমাণ মাংস গ্রহণের ফলে খাদ্য পরিপাকজনিত সমস্যা দেখা দেয়। যা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, অ্যাসিডিটির সমস্যা, পেট ফাঁপাভাব দেখা দেয়। এই সকল সমস্যা এড়াতে প্রয়োজন প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধি খাদ্য উপাদান গ্রহণ। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারে এমন এক ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা খাদ্য দ্রুত পরিপাক হতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্য ও পাকস্থলীর জন্য উপকারী।
ঈদ পরবর্তী সময়ে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা ভীষণ জরুরী। জেনে নিন এমন কয়েকটি খাদ্য উপাদানের নাম।
প্রোবায়োতিক সমৃদ্ধ খাবারের মাঝে টকদইকে সবার আগে রাখা হবে। ফার্মেনটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরিকৃত টকদই থেকে পাওয়া যায় ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া ও প্রোবায়োটিকস। যা খুব সহজে ও দ্রুততম সময়ে খাবার পরিপাক করতে কাজ করে।
এক প্রকারের দ্রবণীয় আঁশ পাওয়া যায় স্বাস্থ্যকর এই ফলটি থেকে, যাকে বলা হয় পেকটিন। এই আঁশ পাকস্থলিস্থ খাদ্য পরিপাক করে এবং পাকস্থলীর জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। যা খাবার ভালোভাবে পরিপাক করে মলের রূপান্তরিত করে এবং ক্ষুদ্রান্তের যেকোন ধরনের ইনফেকশন প্রতিরোধে কাজ করে।
আঁশের আরেকটি দারুণ উৎস হলো চিয়া সিডস। আঠালো এই উপাদানটি পাকস্থলীতে অনেকটা প্রোবায়োটিকের মতো কাজ করে। যা খাদ্য উপাদান দ্রুত পরিপাক হতে সাহায্য করে।
পেঁপেতে রয়েছে প্যাপাইন (Papain) নামক এক প্রকার ডাইজেস্টিভ এনজাইম। যা পাকস্থলিস্থ খাদ্যদ্রব্যকে দ্রুত ও ক্ষুদ্রভাবে ভাঙতে সহায়তা করে এবং খাদ্য উপাদান থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন শোষণে ভূমিকা পালন করে।
এক কাপ (১০০ গ্রাম) বিটরুট থেকে ৩.৪ গ্রাম পরিমাণ আঁশ পাওয়া যায়। বিটের এই আঁশ পাকস্থলিস্থ খাদ্যকে দ্রুত পরিপাক হওয়াতে কাজ করে। যা ক্ষেত্রে বিশেষে অনেকটা প্রোবায়োটিকের মতোই কার্যকরি।
আরও পড়ুন: বুক জ্বালাপোড়া কমাবে যে খাবারগুলো
আরও পড়ুন: বাড়তি ওজন কি কালোজিরা তেল গ্রহণে কমবে?