বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে, তারা সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যা ও এ সম্পর্কিত ভাইরাস যা প্যারালাইসিসের সমস্যা তৈরি করতে পারে, তা রোধের উপায় খুঁজে পেয়েছে।
এই সকল ভাইরাসকে সরাসরি আক্রমনের পরিবর্তে গবেষকেরা আমাদের শরীরের কোষের ভেতরে থাকা এক প্রকারের এসেনশিয়াল প্রোটিনকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্বাচন করেছে। ভাইরাসের বৃদ্ধিতে বা ডুপ্লিকেশনে যা প্রয়োজন হয়। ইঁদুর ও মানুষের ফুসফুসে তাদের পরীক্ষাটি ‘পরিপূর্ণ সুরক্ষা’ প্রদান করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষকেরা এই পরীক্ষাটি মানবদেহের উপর করার জন্য তৈরি হতে পারেনি।
চিকিৎসাশাস্ত্রে সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যা বেশ বড় একটি শারীরিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠাণ্ডার সমস্যাটি রাইনোভাইরাস (Rhinoviruses) নামক ভাইরাসের সংক্রমনে হয়ে থাকে, আরও ১৬০টি ভিন্ন ধরনের ভাইরাসের ফলেও ঠাণ্ডার সমস্যা সহজেই দেখা দিতে পারে। আরও বড় সমস্যা হলো, এই সকল ভাইরাস ড্রাস রেসিস্ট্যান্ট অর্থাৎ ওষুধও তাদের ধ্বংস করতে পারে না এবং মানবশরীরের রোগপ্রতিরোধের আড়ালে তারা খুব ভালোভাবেই লুকিয়ে থাকতে পারে। ফলে খুব সহজেই ও সামান্য কারণেও ঠাণ্ডার সমস্যা দেখা দেয়।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও স্যান ফ্র্যান্সিসকোতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা তাদের পরীক্ষা থেকে দেখতে পায়, ভাইরাস মূলত একটি জিনিসের উপর নির্ভর করেই বেঁচে থাকে। রাইনোভাইরাসসহ পোলিওর সমস্যা তৈরিকারি ভাইরাসের ক্ষেত্রেও দেখা যায় তারা ইঁদুরের শরীরের এক প্রকারের প্রোটিনের (Methyltransferase SETD3) উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। আরও দেখা যায় জেনেটিক্যাল মোডিফাইড যে সকল ইঁদুরের শরীরে এই প্রোটিনটি উৎপন্ন হয় না তাদের মাঝে ভাইরাল ইনফেকশন দেখা দেওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
মানুষের ক্ষেত্রে এমন কোন ওষুধ তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা এই দেহে এই প্রোটিন তৈরিতে সাময়িকভাবে বাধাদান করবে। ফলে ঠাণ্ডার সমস্যা সহজেই রোধ করা সম্ভব হবে।