কষ্টদায়ক এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে বেশ কয়েকটি কারণে। আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস প্রতিনিয়ত দুর্বল করে দেয় আমাদের খাদ্যনালীকে। যা পরবর্তীতে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি তৈরি করে। জেনে রাখুন কোন নিয়মগুলো বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটিকে দূরে রাখবে আপনার কাছ থেকে।
গভীরভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। গভীরভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার ফলে অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্সের লক্ষণ অনেকটা কমে যায়। এছাড়া এই ব্যায়ামটি খুব সহজ পদ্ধতির বলে যেকোন সময় ও স্থানেই করা যাবে। যেকোন সমতল স্থানে স্থিরভাবে বসে গভীরভাবে শ্বাস গ্রহণ করে কিছুক্ষণ ধরে রেখে ধীরে ধীরে প্রশ্বাস ছাড়তে হবে। এভাবে কয়েকবার করতে হবে।
বুক জ্বালাপোড়া ভাব দেখা দেওয়ার ক্ষেত্রে টকদই খুব উপকারী খাদ্য উপাদান। বিশেষত টকদইয়ে তৈরি ঘোল পানে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি দ্রুত কমে যায়।
ধূমপানের অভ্যাস শুধু ফুসফুসকেই নয়, খাদ্যনালীর নিম্নাংশকেও দুর্বল করে দেয়। এতে করে ঘনঘন বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ধূমপায়ীদের সংখ্যা বেশি থাকে। অস্বাস্থ্যকর এই অভ্যাসটি পুরোপুরিভাবে বাদ দিতে পারলে অনেকখানি সুস্থ থাকা সম্ভব হবে।
আমরা প্রায় সকলেই রাতের খাবার গ্রহণের কিছুক্ষণের মাঝেই ঘুমিয়ে পড়ি। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং এই অভ্যাসের ফলেই বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি দেখা দেয়। কারণ পাকস্থলিস্থ খাবার ভালোভাবে পরিপাক হতে পারে না এবং এতে করে অ্যাসিড নিঃসরণের দরুন বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি হয়। সেক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর অন্তত্তিন ঘন্টা আগে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
যেকারোর ক্ষেত্রেই সবচেয়ে কমন যে উপাদানটি বুক জ্বালাপোড়াভাব শুরু করে সেটা হলো ক্যাফেইন। ক্যাফিনেটেড যেকোন পানীয় তথা চা, কফি, কোমল পানীয়তে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যাসিডিক উপাদান। এতে করে এই সকল পানীয় গ্রহণে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি তৈরি হয়। নিজের সমস্যা নির্বাচন করে এমন ধরনের পানীয় গ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: জাপানিদের গড় আয়ু বেশি হওয়ার ৭ কারণ
আরও পড়ুন: চোখের ওপর চাপ কমাবেন কীভাবে?