যেখানে নিয়মিত পিরিয়ড হওয়াকে সুস্থতার নিদর্শন হিসেবে ধরা হয়, সেখানে পিরিয়ড হাজির হয় বেশ কিছু উপসর্গ নিয়ে। মাথাধরা, মাথা ঘোরানো, খাবারে অরুচি, বমিভাব, মেজাজ খিটখিটে হাত-পায়ে ব্যথাভাবসহ পেটেব্যথা দেখা দেয় এ সময়টিতে। অন্যান্য সকল উপসর্গের মাঝে পেটব্যথার সমস্যাটি সবচেয়ে কমন ও এ সমস্যাতেই সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় একজন নারীকে।
পিরিয়ডকালীন সময়ে পেটব্যথা কমাতে ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে একদম সহজ, ফ্রি-হ্যান্ড ও হালকা ঘরানার কিছু শরীরচর্চা দারুণ উপকারে আসবে। আজকের ফিচার থেকে জেনে রাখুব পিরিয়ডকালীন পেটব্যথা কমাতে সহায়ক সহজ ও উপকারী তিনটি শরীরচর্চার ধরণ।
সমতল কোন স্থানে বসে দুই পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এবারে ডানপাশে হাঁটু ভাঁজ করে গুটিয়ে বাম পায়ের কাছে নিয়ে আসতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ডান পা ও হাঁটু সমতল স্থান স্পর্শ করে থাকে এবং বাম পা সামনের দিকে সোজা ছড়ানো থাকে। এবারে বসে থাকা থেকে না উঠে ভাঁজ করে রাখা ডান পায়ের দিয়ে মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে ঝুঁকতে হবে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে পেট, হৃদপিণ্ড, ঘাড়, মাথা ও লোয়ার রিবসকে ধীরে ধীরে বাঁকাতে হবে। এতে করে শারীরিক অস্বস্তি ও পেটব্যথা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
সমতল স্থানে সম্পূর্ণ রিল্যাক্সে শুয়ে পড়তে হবে। এবারে সমতল স্থান থেকে প্রথমে ধীরে পা দুইটি উপরের দিকে উঠাতে হবে। এরপর একইভাবে ধীরে মাথা, ঘাড় ও পিঠ সমতল স্থান থেকে উঠাতে হবে। এখন যেকোন একটি পা ধীরে সমতল স্থানে নামিয়ে নিতে হবে এবং অন্য পা অনেকখানি সোজা রেখে উঠিয়ে বুকের কাছে আনতে হবে ও হাতের সাহায্যে স্পর্শ করতে হবে। এভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকার পর উঠিয়ে রাখা পা নামিয়ে নিয়ে অন্য পা তুলে একইভাবে নিয়ম মানতে হবে। প্রতি পা এইভাবে ৩০ সেকেন্ডের জন্য রেখে ১০ মিনিট এই শরীরচর্চাটি করতে হবে।
সমতল স্থানে আধশোয়া হয়ে দুই পাশে হাত রেখে সমতল স্থান থেকে ৯০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে পা ভাঁজ করে ওঠাতে হবে। এবারে ডান পায়ের আঙুল দিয়ে সমতল স্থান স্পর্শ করে অন্য পা উপরে উঠিয়ে রাখতে হবে ২৫-৩০ সেকেন্ড সময়ের জন্য। এরপর একদম লম্বা হয়ে শুয়ে ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে পুনরায় একই পদ্ধতি ফলো করতে হবে তবে এবারে অন্য পা উঠিয়ে রাখতে হবে। এভাবে ১০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে।