আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে ডায়াবেটিসের অন্যতম প্রাকৃতিক মেডিসিন হলো করলা। তিতা স্বাদের এই সবজিটিতে থাকা পলিপেপ্টাইড-পি (Polypeptide-p), ভাইসিন (Vicine) ও ক্যারাটিন (Charatin) যৌগসমূহ ইনসুলিনের নিঃসরণকে বাড়াতে সাহায্য করে। যার প্রভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে যায়।
নেরসুয়ান ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের উপর দীর্ঘ চার সপ্তাহ করলা গ্রহণের ভিত্তিতে পরীক্ষা করে দেখেছেন, করলার তিতকুটে রস ডায়াবেটিসের মাত্রা লক্ষণীয়ভাবে কমাতে কার্যকর। তারা নিশ্চিত করেছেন যে, করলার রস ব্লাড গ্লুকোজের মাত্রাকে কমায় এবং প্লাজমা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রায় উন্নতি ঘটায়।
বুঝতেই পারছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে করলার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেই নয়, সুস্বাস্থ্য পেতে যে কেউ পান করতে পারবে করলার রস। সবার সুবিধার্থে এখানে করলার জ্যুস ও স্মুদি তৈরির প্রক্রিয়া জানিয়ে দেওয়া হল।
করলার জ্যুস তৈরিতে প্রয়োজন হবে মোটে চারটি উপাদান।
১. ২-৩টি ফ্রেশ করলা।
২. ১/২ টি লেবুর রস।
৩. ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
৪. এক চিমটি পরিমাণ পিংক সল্ট।
করলার জ্যুস তৈরির জন্য করলাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে মাঝ বরাবর কেটে বীজগুলো ফেলে দিতে হবে। এরপর করলা ছোট টুকরা করে নিতে হবে এবং দশ মিনিটের জন্য লবণ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। দশ মিনিট পর পানি থেকে তুলে ব্লেন্ডারে করলার টুকরা, লেবুর রস, হলুদ গুঁড়া ও পিংক সল্ট একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড হয়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে করলার জ্যুস।
করলা স্মুদি তৈরিতে প্রয়োজন হবে
১. দুইটি মাঝারি আকৃতির করলা কুঁচি।
২. একটি আপেল কুঁচি।
৩. ১/২ কাপ কচি কচু শাক।
৪. ১/৪ কাপ আঙুর।
৫. অর্ধেক লেবুর রস।
৬. এক চিমটি পিংক সল্ট।
৭. ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়া।
আগের নিয়মের মতোই বীজবিহীন করলার টুকরা লবণ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি থেকে তুলে সকল উপাদান একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন: