এই শীতে ডায়বেটিস থাকুক নিয়ন্ত্রণে
ঘরে ঘরে ডায়বেটিসের রোগী থাকা যেন খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শরীরে ইনস্যুলিনের প্রোডাকশন কমে যাওয়ার ফলেই মূলত এই সমস্যাটি দেখা দেয়। টাইপ-১ ও টাইপ-২, এই দুই ধরণের ডায়বেটিসে আক্রান্তদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’ হিসেবে পরিচিত এই শারীরিক সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব সঠিক জীবনব্যবস্থা ও খাদ্যাভাসের মাধ্যমে। শীতকালে ডায়বেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এর জন্য আবহাওয়ার পরিবর্তন ও আবহাওয়া জনিত বিষণ্ণতা অনেকখানি দায়ী।
তবে উপকারী ও শীতকালীন কিছু খাদ্য উপাদানের মাধ্যমে সহজেই সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এমন পাঁচটি খাদ্য উপাদানের নাম জেনে রাখুন।
দারুচিনি
গবেষকদের মতে, দারুচিনি গ্রহনে শরীরের ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বৃদ্ধি পায়। দারুচিনিতে থাকে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। মূলত এই স্টেসটি ডায়বেটিস বৃদ্ধির জন্য দায়ী। দারুচিনি খাওয়ার জন্য আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া এক কাপ পানিতে মিশিয়ে পান করতে হবে।
বিটরুট
ভীষণ উপকারী এই খাবারে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর খাদ্যআঁশ। গবেষণা সুপারিশ করে, বিটের আঁশ টাইপ-২ ডায়বেটিসের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ডায়বেটিস আক্রান্ত অনেকেই বিটের হালকা মিষ্টি স্বাদের জন্য এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন এই ভেবে যে, বিট খাওয়ার ফলে ডায়বেটিস বৃদ্ধি পাবে। যা একেবারেই ভ্রান্ত একটি ধারণা। বিটে থাকা আঁশের পাশাপাশি আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যানগানিজ স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে ও ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
গাজর
প্রাকৃতিক বিভিন্ন ধরণের খাদ্য উপাদানের মাঝে শীতকালীন সবজী গাজরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সবচেয়ে কম। এই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর মাধ্যমে খাদ্য উপাদানে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রায় তার প্রভাব চিহ্নিত করে। এছাড়া বিটরুটের মতো গাজরেও থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ। যা পরিপাক হতে লম্বা সময় নেয় এবং রক্তে চিনির মাত্রায় হুটয় করে বৃদ্ধি পেতে বাধা প্রদান করে।
মেথী
ভিটামিন এন্ড নিউট্রিশন রিসার্চের উপর প্রকাশিত হওয়া আন্তর্জাতিক একটি জার্নাল থেকে জানা যায়, প্রতিদিন ১০ গ্রাম মেথী বীজ গরম পানিতে ভিজিয়ে, সেই পানি পান করলে টাইপ-২ ডায়বেটিসকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। ডায়বেটিসের পাশাপাশি পরিপাকজনিত সমস্যাও দূর করে মেথী।
বিভিন্ন ধরণের শাক
বলার অপেক্ষা রাখে না, শাকে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। তবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হুট করে বৃদ্ধি পেলে, শাক গ্রহনে দ্রুত উপকার পাওয়া সম্ভব। এছাড়া গাজরের মতো শাকও লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ একটি খাদ্য উপাদান। যা ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারিতা বহন করে।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড ডায়বেটিস ডে: প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা
আরও পড়ুন: সময় এখন কমলালেবুর!