ভাত ও ভাতের মাড়ও চুল-ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা যায়, এটা মোটেও নতুন কিছু নয়। ভাতের মাড় ব্যবহার চুলের জন্য নানাভাবে উপকারিতা বহন করে। ঠিক এইভাবেই ভাত ও ভাতের মাড়ের ব্যবহারে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব স্বল্প পরিশ্রমেই।
চারপাশে এতো প্রাকৃতিক ও পরিচিত উপকারী উপাদান থাকতে কেন ভাত ও ভাতের মাড় ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে, এই বিষয়টি ভাবাতে পারে। জেনে রাখুন, ভাতে রয়েছে ‘স্কিন হিলিং’ উপাদান, যা ত্বকের গভীরে লুকায়িত সমস্যাকে ভালো করে তুলতে কাজ করে। এছাড়া এতে থাকা লাইনোলিক অ্যাসিড (Linoleic Acid) ও স্কোয়ালিন (Squalene) শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা ত্বকে দেখা দেওয়া বয়সের ছাপকে দূর করতে সাহায্য করে।
স্কোয়ালিনের আরও চমৎকার উপকারিতাটি হলো- এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি রোদের আলোতে হওয়া ত্বকের ক্ষতিকে কমিয়ে আনে। পাশাপাশি এতে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন-ই ত্বকের সার্বিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
বিশেষত ত্বকের বয়স কমিয়ে আনতে, ত্বকে প্রাণবন্ত ভাব তৈরিতে ভাত ও ভাতের মাড়ের ব্যবহার প্রশংসা করার মতো। ত্বকের যত্নে জেনে নিন রাইস ওয়াটার ফেস মাস্কের খুঁটিনাটি।
১. তিন টেবিল চামচ চাল।
২. এক কাপ পানি
৩. এক টেবিল চামচ দুধ।
৪. এক টেবিল চামচ মধু।
১. এক কাপ পানিতে চাল ফুটিয়ে ভাত হয়ে আসলে ভাতের মাড় ছেঁকে নিতে হবে। ভাতের মাড় আলাদাভাবে রাখতে হবে পরবর্তী ব্যবহারের জন্য।
২. এবারে ভাতে গরম দুধ ও মধু দিয়ে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মেশাতে হবে। মিশ্রণটি ঘন পেস্টের মতো হয়ে আসলে বুঝতে হবে ফেসমাস্ক তৈরি হয়ে গেছে।
১. তৈরিকৃত ফেস মাস্কটি পুরো মুখে সমানভাবে প্রয়োগ করে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
২. ফেস মাস্ক শুকিয়ে আসলে পানির সাহায্যে ধুয়ে তুলে নিতে হবে। এবারে রেখে দেওয়া ভাতের মাড়ের সাহায্যে মুখ ধুয়ে দুই মিনিট অপেক্ষা করে পুনরায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার এই প্রক্রিয়ায় যত্ন নিলে ত্বকে প্রাণবন্ত ভাব দেখা দিবে সহজেই।
আরও পড়ুন: