চুলের সমস্যা কখনোই নির্দিষ্ট থাকে না। সময়ের সাথে সাথে চুলের সমস্যার ধরনও বদলাতে থাকে। ফলে চুলের একেক সমস্যার ক্ষেত্রে একেক ধরনের যত্নের প্রয়োজন হয়। আজকের ফিচারে চুলের বিভিন্ন সমস্যায় টকদইয়ের হরেক ব্যবহার দেখানো হয়েছে।
খুশকির মতো জেদি সমস্যাটি থেকে মুক্তি পেতে টকদই বেশ ভালো কাজ করবে। ভিটামিন-বি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ টকদই নিয়মিত ব্যবহারে খুশকির সমস্যা দ্রুত কমে আসবে। ব্যবহারের জন্য সাধারণ টকদই মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর হারবাল শ্যাম্পুর সাহায্য চুল ধুয়ে নিতে হবে।
চুল পড়ার সমস্যাটি কমানোর জন্য একইসাথে টকদই ও মেথি ব্যবহার করতে হবে। মেথি বীজ ও টকদইতে ইয়পস্থিত প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করতে এবং চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। ব্যবহারের জন্য এক কাপ টকদই ও আধা কাপ মেথি বীজের গুঁড়া একসাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তৈরিকৃত মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ও চুলে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আমলকির গুঁড়া চুলের গোড়া শক্তিশালী করতে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। আমলকি গুঁড়ার সাথে ফ্রেশ টকদইয়ের মিশ্রণ ব্যবহার নিশ্চিতভাবেই চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী। ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ টকদই ও এক চা চামচ আমলকির গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে। আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর শুকিয়ে আসলে চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
ডিমের কুসুমের সাথে টকদই মিশিয়ে ব্যবহার করলে অতিরিক্ত শুষ্ক চুলের সমস্যা কমে যাবে। প্রয়োজনীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ ডিমের কুসুম চুলকে ময়েশ্চারাইজ করবে এবং বাইরের দূষণ ও ক্ষতির হাত থেকে রোধ করবে।
ব্যবহারের জন্য এক কাপ দই ও একটি ডিমের কুসুম একসাথে ভালভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তৈরিকৃত পেস্টটি সম্পূর্ণ চুলে ম্যাসাজ করে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করে পরবর্তীতে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
টকদইয়ের সাথে কলার মিশ্রণ চুল ভাঙার সমস্যা রোধ করতে দারুণ কাজ করবে। কারণ কলাতে থাকা প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম, ভিটামিন-সি এবং খনিজ চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে কাজ করে। ব্যবহারের জন্য এক কাপ টকদই ও একটি পাকা কলা প্রয়োজন হবে। একটি পাত্রে কলা কাঁটাচামচের সাহায্যে থেঁতলে এতে টকদই ভালভাবে মেশাতে হবে। পেস্টটি চুলের নিচের অংশে ম্যাসাজ করে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের জন্য রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।