ঘরোয়া উপাদানের বডি ওয়াশ ব্যবহারে স্বস্তি সবচেয়ে বেশি। বাজারে বিভিন্ন ধরণের বডি ওয়াশ পাওয়া গেলেও এ সকল পণ্য ব্যবহারে উপকারিতার সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে বহু। কারণ হরেক কেমিক্যাল উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয় বাজারজাত বডি ওয়াশ। ঝামেলা এড়াতে ঘরে থাকা বেশ কিছু উপাদান কাজ করবে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া বডি ওয়াশ হিসেবে।
নারিকেল দুধে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান তৈলাক্ত ও একনের সমস্যাযুক্ত ত্বকের জন্য উপকারী। বিশেষত নারিকেল তেল লোমকূপকে বন্ধ না করে ত্বকের উপরিভাগ থেকে মরা চামড়াকে সম্পূর্ণভাবে তুলে আনতে কাজ করে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন-এ ত্বকের ইলাস্টিসিটি ও কোমলতা বৃদ্ধি করে।
এসেনশিয়াল অয়েল তৈরি করা হয় কোল্ড প্রেসড প্রক্রিয়ায়, ফলে এই তেলগুলো একেবারে বিশুদ্ধ হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানের নির্যাস থেকে তৈরি করা এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালের নেতিবাচক প্রভাব দূর করতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে এসেনশিয়াল অয়েল। এছাড়া এসেনশিয়াল অয়েল থেকে অ্যান্টি-এইজিং উপকারিতাও পাওয়া যাবে।
মধু ত্বকের ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং এতে থাকা পুষ্টি ত্বকের জন্য দারুণ প্রয়োজনীয়। বিশেষত মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ধর্ম ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে এবং ত্বককে তার প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা প্রদান করে। এছাড়া রোদে পোড়াভাব দূর করতে ও ত্বকের লালচে ভাব কমাতেও মধু উপকারী।
সাধারণত শীতকালে অলিভ অয়েলের ব্যবহার বেড়ে যায় অনেকখানি। কিন্তু উপকারী এই তেলটি পুরো বছর জুড়েই ব্যবহার করা যাবে। ত্বকের পুষ্টি জোগাতে অলিভ অয়েল যতখানি দারুণ একটি উপাদান সকল ধরণের ত্বকের সাথে মানিয়ে নিতেও এই তেলটি ঠিক ততটাই ভালো কাজ করে। পুরো বছর জুড়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকলে অলিভ অয়েল ব্যবহারেই উপকার পাওয়া যাবে সবচেয়ে বেশি।