ফলস আইল্যাশ নয়, প্রাকৃতিকভাবে চোখের ঘন করতে ও পাপড়ি লম্বা করতে চাইলে বেছে নিতে হবে হাতের কাছে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানকে। ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশপাশি যদি চোখের পাপড়ির দিকেও সমানভাবে নজর দেওয়া যায়, তবে এক-দেড় মাসের যত্নেই কাঙ্ক্ষিত চোখের পাপড়ির দেখা পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রথমেই প্রয়োজন হবে মাশকারার অব্যবহৃত ও পরিষ্কার আই ব্রাশ। এবারে জেনে নিন কোন উপাদানগুলো ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে।
চুলের যত্নে এবং চুলের বৃদ্ধিতে ক্যাস্টর অয়েল দারুণ প্রচলিত একটি প্রাকৃতিক তেল। মজার ব্যাপার হল, চুলের সঙ্গে চোখের পাপড়ির যত্নে ও বৃদ্ধিতেও ব্যবহার করা যাবে এই তেলটি। সহজলভ্য বেশ কিছু আইল্যাশ সিরামের প্রধান উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা হয় ক্যাস্টর অয়েল।
ময়েশ্চারাইজিং অলিভ অয়েল চোখের পাপড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি দৈর্ঘ্য বাড়াতেও অবদান রাখে। মূলত এই তেলে থাকা এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ ইমোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। সেই সঙ্গে অলিভ অয়েলের প্রধান ধর্ম- ময়েশ্চারাইজিং চোখের পাপড়িকে মজবুতও করে।
মুখের ত্বক ও চোখের আশেপাশের ত্বকের জন্য জন্য উপকারী তো বটেই, খাঁটি নারিকেল তেল চোখের পাপড়ির জন্যেও দারুণ উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এমনকি বেশ কিছু পরীক্ষা থেকে দেখা যায়, নারিকেল তেলের প্রোটিন চোখের পাপড়ি ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করতে কার্যকর।
প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতার পাশাপাশি চোখের পাপড়ির জন্যেও উপকারী প্রভাব বিস্তার করবে। গ্রিন টি ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত ও আর্দ্র গ্রিন টিয়ের ব্যাগ চোখের উপর ১৫-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে।