ত্বকের পরিচর্যায় আলুর ব্যবহার নতুন কিছু নয়। আলুতে রয়েছে ক্যাটিকোল্যাসে (Catecholase) নামক এক ধরণের এনজাইম। যা ত্বকের কালচে দাগকে কমিয়ে আনতে ও ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের ভেতর থেকে মরা চামড়াকে দূর করতে অবদান রাখে বলেও এক্সফলিয়েটিং এর জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে আলুর রস বেশ জনপ্রিয়। পরিচিত ও উপকারী এই সবজিটির দারুণ সহজ ও ভিন্ন ব্যবহারের একটি ধরণ হল পটেটো আইস কিউব।
এটা বানানোর জন্য মূলত দুইটি উপাদান প্রয়োজন হবে- আলু এবং লেবুর রস। লেবুর রসের পরিবর্তে ভিটামিন-ই ক্যাপসুলও ব্যবহার করা যাবে। প্রথমে বড় একটি আলু খুব ভালোভাবে পিষে নিতে হবে। এরপরে পরিষ্কার কাপড়ে পিষে রাখা আলু থেকে রস বের করে বাটিতে সংরক্ষণ করতে হবে।। আলুর রসে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস অথবা ৫টি ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে আইস কিউব ট্রেতে করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে জমাট বাধার জন্য।
বরফ কিংবা পটেটো আইস কিউব, কোনটাই সরাসরি মুখের ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। অতিরিক্ত ঠান্ডাভাবের দরুন ত্বকে জ্বালাপোড়াভাব দেখা দেবে। পটেটো আইস কিউব ব্যবহারের জন্য সুতি পাতলা ও পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করতে হবে। রুমালের সাহায্যে দুইটি আইস কিউব পুরো মুখে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে, প্রতিদিন মুখে আইসি কিউব ব্যবহার করা যাবে না। দুই দিন পরপর কিংবা সপ্তাহে দুই দিন পটেটো আইস কিউব ব্যবহার করতে হবে। আলুর স্টার্চ ত্বকের জন্য উপকারী এবং লেবুর রসের ন্যাচরাল ব্লিচ ত্বকের কালচে ভাবকে দূর করতে ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
পটেটো আইস কিউব তৈরিতে যদি লেবুর রস ব্যবহার করে থাকেন, তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন মুখের ত্বকে কোন ধরণের কাটাছেঁড়া বা ক্ষত যেন না থাকে। নতুবা লেবুর রসের অ্যাসিডিক ধর্ম জ্বালাপোড়াভাব তৈরি করবে।