হত্যা-গুমের উপরই বিএনপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত: তথ্যমন্ত্রী

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 18:19:45

হত্যা-গুমের ওপরই বিএনপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ অবলীলায় হত্যা, খুন, গুম করে যাচ্ছে’ -এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি পুরো দলটাই তো হত্যার রাজনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। জিয়াউর রহমান নিজে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত। হত্যার মাধ্যমেই জিয়াউর রহমানের উত্থান এবং হত্যার মাধ্যমেই জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় টিকেছিল। সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনীর কয়েক হাজার অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থেকে পরবর্তীতে নিজেও হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারটাও করে নাই, জিয়াউর রহমানের হত্যার পর তারা আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে একবার ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দুইবার ক্ষমতায় ছিল, তখনও তারা জিয়া হত্যার বিচার করে নাই।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বাংলাদেশে যে গুম, খুন হয়েছে, সেটি নজিরবিহীন। আপনাদের মনে আছে, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনা করা হয়েছিল। তখন ডজন-ডজন মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এবং সেই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার জন্য আবার সংসদে ইমডেমনেটি দেয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না। যেভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৯ সালের পার্লামেন্টে তারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার জন্য ইমডেমনেটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল, একই কাজ বেগম খালেদা জিয়া করেছিল ২০০২ সালে।’

বিএনপি রাজপথে আন্দোলনে নামতে পারে- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন দেশে এবং সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবে মানুষের জীবন পর্যুদস্ত, প্রায় সব দেশেই অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে আমাদের দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে, গতবছরের জুলাই’র তুলনায় এবছরের জুলাই মাসে আমাদের রপ্তানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক কর্মসূচিও আমরা সীমিত করে ফেলেছি।’

১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের পর সিনেমা হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত

চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের পর সিনেমা হল কবে খোলা যেতে পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকন, কবিরুল ইসলাম রানা, আব্দুস সামাদ খোকন, মুস্তাফিজুর রহমান মানিক, চলচ্চিত্র প্রদর্শক মিঞা আলাউদ্দিন ও আওলাদ হোসেন প্রমুখ সভায় অংশ নেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিনেমা হলগুলো খোলার ব্যাপারে চলচ্চিত্র শিল্পের অংশীজনদের সাথে ইতিপূর্বেও আলোচনা হয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে হল খোলাটা কতটুকু যৌক্তিক হবে, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। ভারতে এখনো সিনেমা হল খোলে নাই। সেখানে সিনেমার দর্শক অনেক বেশি। আবার এখন সিনেমা হল খুললে সেখানে দর্শক যাবে কি না, সেটিও একটি প্রশ্ন। সুতরাং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী মাসের ১৫ তারিখের পরে আমরা বসে এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, কখন থেকে হলগুলো খোলা যায়।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পের গৌরব ফিরিয়ে আনতে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু করা এবং সিনেমা হলগুলোর আধুনিকায়নে স্বল্পসুদ ও দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংক ঋণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর