নেপালকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার দিবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
এসময় দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। টেলিফোন কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার দেওয়ার কথা জানান।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন আলাপের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
এদিকে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী ওলি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
দুই প্রধানমন্ত্রীই নেপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন, গ্রিড সংযোগ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে সহযোগিতা, দুই দেশের মধ্যে বাধা-মুক্ত ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের প্রচার, বাংলাদেশের মাধ্যমে নেপালের ট্রানজিট সুবিধার উন্নতি সহ সাধারণ স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।
পর্যটনের জন্য রহনপুর (বাংলাদেশ) হয়ে সিঙ্গাবাদ (ভারত) রেলপথটি নতুন করে চালু করার জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
দুই প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিজ নিজ সরকার কর্তৃক যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তার অভিজ্ঞতাও বিনিময় করেন এবং এই বিপর্যয় মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হন। প্রধানমন্ত্রী ওলি মহামারি সংক্রমণে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন এবং এই কঠিন সময়কালে নেপালি নাগরিকদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নেপালে ভাইরাসের বিস্তারকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে নেপাল সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী নেপালে রেমডেসিভির ইনজেকশন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও মেডিকেল রসদ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী ওলি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপাল কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের কাহিনী থেকে উপকৃত হতে পারে। তিনি ৫০ হাজার টন ইউরিয়া সার বাংলাদেশের কাছে সহায়তাও চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মৌসুমে নেপালে সার সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী ওলির আবেদন ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন।
নেপালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের কথা স্মরণ করে উভয় প্রধানমন্ত্রীই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে মতামত ভাগ করেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী গত বছর নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সফল সফরের কথা স্মরণ করেন। পারস্পরিক উপকারী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উন্নীত ও জোরদার করতে উভয় প্রধানমন্ত্রী উচ্চ-পর্যায়ের সফরে জোর দেন।