জীবনে সুখের কমতি ছিল না। খুব ভালো সুখেই ছিলাম। তিন তিন বার সংসদ সদস্য হয়েছি। সুতরাং চিন্তাভাবনা করেই এই পথে পা বাড়িয়েছি। জীবনে কোনো দিন ব্যর্থ হই নাই। এখানেও ব্যর্থ হব না বলে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের হুশিয়ার করে দিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
প্রতি বুধবার যেকোনো জায়গা যেকোনো সময় তাৎক্ষণিক অভিযানে যাবেন মেয়র। এ সময় কোনো বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স বা হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতায় না থাকলে ওই কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ডিএসসিসির অঞ্চল সমূহের রাজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন। ডিএসসিসিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মর্যাদাশীল সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলারও ঘোষণা দেন মেয়র। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাপস বলেন, আমাদের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৩শ কোটি টাকা ছিল। সেই সাড়ে ৩শ কোটি টাকায়ই রেখেছি, বৃদ্ধি করিনি। আমি জানি আপনাদের সমস্যা রয়েছে। আমি সমস্যার যেমনি সমাধান করব পর্যায়ক্রমে আপনাদের সুবিধাও বাড়াব। আমি জানি, কিছু পেতে হলে আগে কিছু দিতে হয়। আমি দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আমি দেয়ার জন্য মনোনিবেশ করেই এই পদে এসেছি। নির্বাচন করেছি।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবেন। কে কোথায় কি কাজ করেছেন, কত আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কতটুক হয়েছে, কতটুক হয়নি। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন। দৈনন্দিন কোনো সমস্যা কোথাও যদি হয় তাহলে উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে সেই সমস্যা জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব তাৎক্ষণিক সেই সমস্যার সমাধান করতে, সুরাহা করতে। প্রত্যেক তিন মাস অন্তর অন্তর এখানে পর্যালোচনা সভা হবে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি প্রত্যেক বুধবার বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনে যাই। আমি যেকোনো বাসায় যেতে পারি। যেকোনো দোকানে যেতে পারি। যেকোনো কারখানায় যেতে পারি। প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব আদায় হয়েছে নাকি বা তার মূল্যায়ন হয়েছে নাকি, আমি জিজ্ঞেস করতে পারি। সেখানে যদি সঠিকভাবে সেই রাজস্ব বা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় না হয় বা ওই প্রতিষ্ঠান অথবা বাসা যদি আমাদের কর এর অন্তর্ভুক্ত না থাকে বা ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা চালিয়ে থাকে, তাহলে সেই এলাকায় করের দায়িত্বে যিনি থাকবেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।