কুমিল্লা নগরীতে মসজিদ থেকে টেনে বের করে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার ২ মাস পার হয়েছে। এখনও ওই ঘটনার মূল হোতা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনসহ ৭ আসামি রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের স্বজনরা।
ওই ব্যবসায়ীর পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১০ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর কোটবাড়ি সড়কের চাঙ্গিনি মোড় এলাকায় কুসিকের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় কাউন্সিলর আলমগীরসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত ব্যবসায়ী আক্তারের স্ত্রী রেখা বেগম। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের দিনেই তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। তবে এখনও গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন। আলমগীর কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদে ছিলেন। এ ঘটনার কারণে গত ২৪ জুলাই তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কাউন্সিলরের ভাই আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, গুলজার হোসেন, গুলজার হোসেনের ছেলে নাজমুল ইসলাম আলিফ, নাজমুল ইসলাম তানভীরসহ ১০ জন।
নিহতের ছোট ভাই স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহজালাল আলাল অভিযোগ করেন, ঘটনার দুই মাস হয়ে গেল। মামলার প্রধান আসামিকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে এ মামলার দ্বিতীয় আসামি কাউন্সিলরের ভাই আমির হোসেনকে ৪ দিন আগে জামিন দিয়েছেন আদালত। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই। আর সিটি করপোরেশনও কাউন্সিলর আলমগীরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি এ ঘটনার মূল হোতা কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনসহ সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমরা ইচ্ছে করলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। এবিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেয়। কাউন্সিলর আলমগীর এখন পালাতক রয়েছে। যেহেতু এটি আইনের বিষয়, তাই পুলিশই বিষয়টি দেখবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখনও সাতজন আসামি পালাতক আছে। ইতিমধ্যে আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের একজন জামিনে বের হয়েছে বলে শুনেছি।