জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতিতে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, এনআইডি জালিয়াতিতে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আমরা ইতিমধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সম্প্রতি ঢাকায় এনআইডি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আইডিইএ প্রকল্পের আউটসোর্সিং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দুইজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৮ বছরে সর্বমোট ৩৯ জনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। আমরা কোনো জালিয়াতকারীকে ছাড় দেবো না।
তথ্য গোপন করে দ্বৈত ভোটার হওয়ায় ডা: সাবরিনার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেনের দুইটি এনআইডি লক করা হয়েছে। একইসঙ্গে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসারকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এর ধারা ১৪ ও ১৫ অনুযায়ী মামলা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন কিভাবে দুই বার ভোটার হয়েছেন এবং তার সাথে কেউ জড়িত আছে কিনা তা পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে তদন্তের জন্য বিসিসি ও বুয়েট প্রতিনিধিসহ আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়ে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতির বিরুদ্ধে গৃহিত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে এনআইডির ডিজি বলেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মধ্যে এটি তদন্ত করা হয় এবং প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৬ (ছয়) জন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা হয়। জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া কর্তৃক অধিকতর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এর ক্রমধারায় অধিকতর তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশনেরে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি তদন্ত কমিটি গ্রহণ করা হয়েছে।
সেই তদন্তসমূহের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
দেশব্যাপী এনআইডি কার্যক্রম তদারকিতে সাঁড়াশি অভিযান চলবে জানিয়ে সাইদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা জেলায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট চার চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকার প্রত্যেক থানায় অভিযান চালানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী ১০টি টিমের মাধ্যমে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এই অভিযান নিয়মিত চলবে। প্রতি মাসে এই কমিটি জেলা উপজেলায় অভিযানে যাবে এবং সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করবে। কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।