প্রেমিকসহ তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণ; অতঃপর ভিকটিমের পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি, টাকার অংক মেটাতে ব্যর্থ হলে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে প্রেমিক।
গত ১১ অক্টোবর কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের দেবেঙ্গাপাড়া এলাকায় এমন ঘটনাটি ঘটে। ধিকৃত ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া, প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় ওঠেছে।
এ ঘটনায় প্রেমিক এবাদুল্লাহকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভিকটিমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গুলগুলিয়া পাড়ার মোঃ আলী প্রকাশ নবাব মিস্ত্রির পুত্র এবাদুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় স্কুল ছাত্রীর। সেই সুবাদে এবাদুল্লাহর আরো দুই বন্ধু খায়রুল আমিন ও নুরুল হাকিম মিলে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এরফান উল্লাহ জানান, অভিযুক্তরাই ভিডিও ধারণের কথা ভিকটিমের স্বজনদের জানায়। দাবি করে টাকা। অন্যথায় ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
তিনি জানান, ১২ অক্টোবর রাতে ভিকটিমের পরিবারের নিকট থেকে দাবিকৃত টাকার জন্য গেলে এবাদুল্লাহ ও খায়রুল আমিনকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পরে খায়রুল আমিনকে গায়ের জোরে ছাড়িয়ে নেয় আশরাফুল ইসলাম রাসেল নামের এক ব্যক্তি। পরে এবাদুল্লাহকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুুল হাই জানান, তিনবন্ধু মিলে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৩ অক্টোবর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে কথিত প্রেমিক এবাদুল্লাহ। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।