যুক্তরাষ্ট্র খুনিদের আবাসস্থল নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) স্টিফেন ই. বিগানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরাতে আমরা আশাবাদী। বাংলাদেশ সরকার বহু বছর ধরে রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে। বাংলাদেশে রাশেদ চৌধুরীর বিচারের নথিপত্র চেয়েছে ওয়াশিংটন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, এ বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও জলবায়ু সংকট ও করোনা টিকা নিয়ে কথা হয়েছে। বাংলাদেশ সমুদ্র সীমায় বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র দিল্লির চোখে দেখে কিনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, কখনই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দিল্লির চেহারায় দেখে না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করেন। তাইতো তিনি এখানে এসেছেন।