খুলনা থেকে ১৮টি রুটে পরিবহন চলাচল ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকায় দূর্ভোগে পরেছে সাধারণ মানুষ। অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পরেছে যাত্রীরা। বাস মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছে ভোগান্তির শিকার হওয়া যাত্রীরা।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে খুলনা নগরীর রয়্যাল মোড় ও সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। উপায় না পেয়ে যাত্রীরা ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রো ও পিকআপ ভাড়া করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহন বন্ধের এ সুযোগে কয়েকগুন বেশি ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছে বিকল্প যানবাহন চালকরা। এতে যাত্রা পথে একাধিকস্থানে দূর্ভোগ বাড়ছে যাত্রীদের। এছাড়া ট্রেনেও ভিড় করছেন অনেকে, তবে অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় অনেকে যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
খুলনার সোনাডাঙ্গাস্থ প্রধান বাস টার্মিনালে অাহসান অাহমেদ বলেন, পরিবহন চলাচল বন্ধ এটি অাগে জানতাম না। এখানে এসেছি কয়েক ঘণ্টা হলো। কাল সকালে চাকরিতে যোগ দিতে হবে, রাতের ভেতরে রাজশাহী যেতে হবে। কি করবো বুঝতে পারছি না।
ঢাকার পথের যাত্রী ষাটোর্ধ্ব রিনা অাবেদা সুলতানা বলেন, নদীর ওপার থিকা ডবল ভাড়া দিয়া এহানে অাইছি। রাইতে অামার মেয়ের ডেলিভারি। ঢাহায় জামাই ছাড়া অার কেউ নাই। রাইতে তার ডিউটি অাছে। এহন কেমনে যামু।
এদিকে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অাশঙ্কা অাছে। কিছু ঘটলেই রাস্তার বাস ভাংচুর করা হয়, এতে যাত্রীরাও অাহত হয় অাবার বাস মালিকেরও ক্ষতি হয়। সবার নিরাপত্তার স্বার্থে বাস বন্ধ রয়েছে। সমাবেশ শেষে পরিস্থিতি শান্ত হলেই পুনরায় সব রুটে বাস চলবে।