বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ফলে ভোট কেন্দ্রগুলোতে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকদিন পর সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। তবে ইভিএম পদ্ধতিতে হওয়ায় ভোটারদের অনেকেই বুঝতে পারছে না। ফলে ভোটগ্রহণে সময় বেশি লাগছে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বগুড়া পৌরসভার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে উৎসব মুখর পরিবেশ দেখা গেছে।
জানা গেছে- দেশের সর্ব বৃহৎ পৌরসভা বগুড়া। প্রায় ৭৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভা ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। আর ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০ জন।
১১৩টি ভোট কেন্দ্রে ৮৩০টি বুথে সকাল ৮টা থেকে ইভিএমএ ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বগুড়া পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডের মানিক চক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শহীদ উল আজাদ জানান ২৪৭০ ভোটারের মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে ২০০ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আরও শতাধিক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এই কেন্দ্রে আগত ভোটাররা বলেন, তারা অনেক দিন পর ভোট কেন্দ্রে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন।
৪ নং ওয়ার্ডের জুবলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রাফেল আলী জানান, সকাল থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসছেন এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের চাপ বাড়ছে। এই কেন্দ্রে ৩৪১৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এদিকে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা শুরু হয়েছে শনিবার রাত থেকেই। পুলিশ, র্যাব, আনসার ছাড়াও ১৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বগুড়া পৌর এলাকায়। সকাল থেকেই প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে।
রির্টানিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২১টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিল পদে প্রার্থী রয়েছেন ১৩০ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর (নারী) পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫০ জন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।