দেশের ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি বেদখলে

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 14:52:16

বর্তমানে দেশে মোট বনভূমি আছে ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার একর। এর মধ্যে বেদখল হয়ে গেছে প্রায় দুই লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি। এই বেদখলকৃত বনভূমির মধ্যে জবর-দখল হয়েছে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার একর । বর্তমান অবস্থায় দেশে সংরক্ষিত বনের পরিমাণ ৩৩ লাখ একর বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো.শাহাব উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) আগারগাঁও বনভবনে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে টেকসই বন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বন অধিদফতর ও প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে মন্ত্রী বলেন, পাহাড় ও বনের মধ্যে ঘরবাড়ি করা বন্ধ করতে হবে। তাহলে টেকসই ও সমৃদ্ধ বন গড়ে তোলা যাবে। একইসাথে বন তার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।

বাংলাদেশে এখনও বন ও বন্যপ্রাণীতে অনেক সমৃদ্ধ জানিয়ে বনমন্ত্রী বলেন, এই অবস্থা আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যদি বন না থাকে, তাহলে বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করা যাবে না। তাই বন সংরক্ষণে নজর দিতে হবে।

বঙ্গোপসাগরের পাশে যে সুন্দরবন আছে সেটি হল আমাদের বেরিয়ার। সুন্দরবন যদি রক্ষা করা না হয়, তাহলে একদিন খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী বঙ্গোপসাগরের মধ্যে চলে যাবে। একবার যদি সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যায়। তাহলে বঙ্গোপসাগরে ভাঙন সৃষ্টি হবে। সেটি হলে আর রক্ষা পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী।

বনের অনেক দাবিদার আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আদিবাসীরা বনে বসবাস করেন। তার যদি বনের ক্ষতি করেন তাহলে, তাদের আর আদিবাসী বলে বিবেচনায় রাখবো না। আদিবাসী হয়ে যদি আপনি বনে বসবাস করতে চান। তাহলে আপনার চারপাশ সংরক্ষণ করতে হবে।

তাছাড়া, অনেকেই সংরক্ষিত বনের মধ্যেও বাড়িঘর করছে। এসব বিষয়ে আমরা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এবং আইন ও বিধি বিধান অনুসারে এই সংরক্ষিত এলাকা থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বনমন্ত্রী।

বর্তমানে আমাদের সব মিলে ২২ ভাগ বনায়ন দেখাতে পারছি। কিন্তু আমাদের মূল বনায়ন থাকার কথা ২৫ ভাগ। যারা বেআইনিভাবে বন দখল করে আছে। তাদের বের করে দিতে পারলে। তখন আমরা এই ২৫ ভাগ বনায়ন দেখাতে পারব বলে জানান মন্ত্রী।

বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ.কে.এম রফিক আহম্মদ সহ আরও অনেকেই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর