আগামী ২৬ অথবা ২৭ মার্চ ঐতিহাসিক মুজিবনগরের স্বাধীনতা সড়ক (মুজিবনগর-কোলকাতা) উদ্বোধন হবে বলে জানালেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সড়কটি উদ্বোধন করবেন। দু'দেশের মধ্যে এই সড়ক স্থাপনের চুক্তি অনুযায়ী আমরা আমাদের অংশের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছি। ভারতের অংশের কাজ করবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
গেল ১৪ মার্চ সড়ক নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। স্বল্প সময়ের মধ্যে এলজিআরডি কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করায় তাদের সাধুবাদ জানান মন্ত্রী।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে এলজিআরডি মন্ত্রীর বহনকারী হেলিকপ্টার মুজিবনগর কমপ্লেক্সের হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন এবং এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান।
মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে লাল গালিচার শুভেচ্ছা এবং গার্ড অব অনার প্রদান করে পুলিশের একটি চৌকস দল। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শুভেচ্ছায় সিক্ত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করেন। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালিত হয়। জাতীয় চার নেতাসহ নেতৃবৃন্দ, দেশি বিদেশি সাংবাদিক ভারত থেকে এই সড়ক দিয়ে মুজিবনগরে প্রবেশ করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে সড়কটির নাম জড়িয়ে থাকায় তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী স্বাধীনতা সড়ক দিয়ে দেশের মানুষ চলাচল করতে পারবে।