করোনারোধে সারা দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেটা উপেক্ষা করে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া প্রাইভেট ও মাইক্রোবাসের টিকেট কাউন্টারে যাত্রী ও গাড়ির চালকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে দৌলতদিয়া (বিআইডব্লিউটিসির) টিকেট কাউন্টারে এ চিত্র দেখা যায়।
এছাড়াও কোন প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চালকদের মধ্যেই নেই সচেতনতার বালাই, মাস্কছাড়াই তারা কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছে। লকডাউনের মধ্যে টিকেট কাউন্টার বন্ধ রাখায় দীর্ঘ সময় আটকে থেকে ক্ষোভ প্রকাশও করছেন তারা।
কুষ্টিয়া থেকে আসা প্রাইভেটকার চালক মাসুদ মিয়া বলেন- সেহেরীর পর রোজা রাখা অবস্থায় জরুরী কাজের জন্য মানিকগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। ভোরে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে দেখি ফেরী চলাচল বন্ধ,কাউন্টারে কোনো লোক নেই।
বরিশালের পিরোজপুর কাউখালী এলাকার মাইক্রােবাসে আসা যাত্রী বাবু বলেন, ছোটবোন খুব অসুস্থ্য। অসুস্থ্য অবস্থায় একটি মাইক্রােবাস ভাড়া করে ভোর ৩টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। এসে শুনি ফেরী বন্ধ রয়েছে। টিকেট ও দেওয়া বন্ধ রয়েছে। রোগী নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) এর দৌলতদিয়া কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ফিরোজ শেখ বলেন, রাতেই গোয়ালন্দ মোড় ও ঘাট এলাকার সকল পণ্যবাহী ট্রাক পার করা হয়েছে। এখন ঘাটে কোনো ট্রাক নেই প্রশাসনের নির্দেশে ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন লকডাউন জেনেও মানুষজন যদি গাড়ি নিয়ে ইচ্ছেমতো চলে আসে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।