করোনা আক্রান্ত সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়েছে। ফজলে হোসেন বাদশা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে তাঁকে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তাঁর চিকিৎসা চলবে।
এর আগে বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর রাত ৯টার দিকে তাঁকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের একটি কেবিনে ছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু জানান, শরীরে জ্বর অনুভব হওয়ায় এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বুধবার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। সন্ধ্যায় তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। এরপর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। দেবু আরও জানান, এমপি ফজলে হোসেন বাদশা শারীরিকভাবে ভালো আছেন। তাঁর পুরোপুরি সুস্থতার জন্য তিনি পার্টির পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের সচেতনতার জন্য কাজ করেছেন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। সাধারণ মানুষের জন্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে নেমে পড়েছেন রাজশাহীর রাস্তায়। লকডাউন চলাকালে দিয়েছেন খাদ্য সহায়তাও। ফজলে হোসেন বাদশার প্রচেষ্টায় রাজশাহীতে চালু হয় দুটি নমুনা পরীক্ষার ল্যাব।
দেশে করোনার গণটিকা কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনই ৭ ফেব্রুয়ারি ফজলে হোসেন বাদশা রামেক হাসপাতালে গিয়ে টিকা নেন। তিনিই রাজশাহীতে প্রথম টিকা গ্রহণ করে এর উদ্বোধন করেন। সেদিন তিনি সবাইকে টিকা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। গত ৮ এপ্রিল তিনি করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেন। এর ছয়দিন পর তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ল।