বাংলাদেশের এভিয়েশনে ইতিহাস সৃষ্টি করে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল দেশীয় প্রথম ও একমাত্র এয়ারলাইন্স হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স চীনের গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। নিরবিচ্ছিন্নভাবে তিন বছর যাবত ইউএস-বাংলা চীনের বাণিজ্যিক শহর গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
স্বাধীনতার পর প্রথম কোনো বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স হিসেবে ইউএস-বাংলা চীনের কোনো প্রদেশে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি পায়। দেশীয় বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বিভিন্ন সময়ে চীনের বিভিন্ন শহরে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি প্রার্থনা করে কিন্তু সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব চায়না (সিএএসি) থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-ই যাত্রী পরিবহনের অনুমতি পায়।
সারাবিশ্বের করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশ থেকে একটি মাত্র দেশে ফ্লাইট পরিচালনা নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত ছিলো- তা হচ্ছে চীন। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স করোনাকালীন সময়ে ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীবৃন্দ, উচ্চ শিক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, উন্নত চিকিৎসা নিতে গমনেচ্ছুক ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশি পর্যটকবৃন্দ এমনকি বাংলাদেশে কর্মরত চীনা নাগরিকবৃন্দও উচ্ছ্বসিত। বর্তমানে করোনাকালে বিভিন্ন শর্ত আরোপের কারণে ইউএস-বাংলা প্রতি শনিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের গুয়াংজুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এবং স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৫০ মিনিটে গুয়াংজুতে অবতরন করে। পুনরায় রোববার ভোর ৫টায় গুয়াংজু থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এবং সকাল ৭টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরন করে।
ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটে ৮টি বিজনেস ক্লাস, ১৫৬টি ইকোনমি ক্লাস এর আসন ব্যবস্থা রয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারিতে বর্তমানে সরকারের নির্দেশনা মতে ঢাকা থেকে দুবাই, দোহা, সিঙ্গাপুর ও গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ রয়েছে ঢাকা থেকে মাস্কাট, চেন্নাই, কলকাতা, কুয়ালালামপুর ও ব্যাংকক রুট।
১৭ জুলাই ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের অভ্যন্তরে সকল রুটেও ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইউএস-বাংলার বিমান বহরে ৪টি বোয়িং-৭৩৭-৮০০, ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর৭২-৬০০সহ মোট ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।