প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৪০ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অন্তত এইটুকু করতে পেরেছি বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে গুণীজনদের হাতে স্বাধীনতা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় জীবনে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল) ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১' দেয়া হয়। যারা মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন তাদের স্বজনদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
১৫ আগস্ট ঘটনার পর দেশে ফিরতে না পারার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাবার আদর্শ বুকে ধারণ করে বাংলাদেশে ফেরার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতেই হবে। এত রক্ত এত ত্যাগ, এটা কখনো বৃথা যেতে পারে না। এটা বৃথা যেতে আমরা দিতে পারি না , আমরা দেব না।
‘‘এইটুকু শুধু বলতে পারি, দীর্ঘ ৪০ বছরে এই বাংলাদেশে। কিন্তু আমি ৮০ সালে লন্ডনে যাই। তখন থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য সেখানে আপ্রাণ চেষ্টা করি। বিভিন্ন জায়গায় প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে একত্রিত করা, সংগঠন গড়ে তোলা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সেটা আমি করতাম। তাছাড়া ১৯৮০ সালে রেহানা প্রথম তার বক্তব্য সে নিয়ে এসেছিল জাতির পিতার হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে। সেটা ৭৫’র পর বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন ড. রাজ্জাক। তিনি সুইডেনে ছিলেন। তিনি সেই সময় এই ঘটনার পর পদত্যাগ করেন। তিনি বলেছিলেন আমি মিলিটারি ডিটেকটর সরকারের অধীনে চাকরি করব না। তিনি একটা সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। সেই সম্মেলনে রেহানা যায়, তখন সে সেখানে বক্তব্য রাখে, হত্যার প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪০বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অন্তত এইটুকু করতে পেরেছি যে বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
আমাদের ৫০ বছরপূর্তিতেই আমরা এই স্বীকৃতিটা পেলাম। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী যখন আমরা উদযাপন করে যাচ্ছি। তখন আমরা এই স্বীকৃতিটা পেলাম।
তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।