ঢাক-ঢোল বাজিয়ে দুর্গা মায়ের আগমনী বার্তা নিয়ে কাঁখে জলভর্তি ঘট (ছোট মাটির কলস) নিয়ে এসেছেন সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী নারীরা। নিচে ধান বিছিয়ে এ ঘট প্রতিমার সামনে স্থাপন করেন তারা। এ সময় আম পাতা, নারিকেল, শাড়ি, ফুল, ফল ও দূর্বাঘাস ঘটের উপরে দেয়া হয়। মন্ত্র পড়তে পড়তে ঘট স্থাপন করেন পূজারি। মন্ত্র পাঠের মধ্যদিয়ে পূজারি মহালয়ার (চণ্ডী) পূজা শুরু করেন। এভাবেই শুরু হয় দুর্গাপূজা।
এদিকে পূজারিরা বলছে, এবার দুর্গা মা আসে ঘটকে (ঘোড়া) করে, আর যাবে দোলায়।
অন্যদিকে, এই প্রথম লক্ষ্মীপুরে ১০ দিনব্যাপী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এরআগে জেলার মন্দিরগুলোতে ষষ্ঠী থেকে পূজার আয়োজন করা হত। এবার জেলা শহরের শাঁখারী পাড়ায় ত্রিনয়নী মণ্ডপের নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মহালয়ার মধ্য দিয়ে এ পূজার শুরু হয়।
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সকালে ওই মণ্ডপে পুরোহিতদের পূজা দিতে দেখা যায়। এ সময় জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভক্তরা অঞ্জলি দিয়ে সুখ-শান্তি কামনায় দুর্গা মায়ের কাছে প্রার্থনা করে। পরে দর্শনার্থীরা পূজার পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণ করেন। তবে সোমবার (৮ অক্টোবর) রাতে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
জানা গেছে, প্রতিবছরই জলভর্তি ঘট নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ প্রতিমার আগমনী বার্তা নিয়ে আসেন। এরপর মহালয়ার মধ্যদিয়েই সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা শুরু হয়।
আয়োজকরা জানান, ত্রিনয়নী মণ্ডপের নবম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এবারই প্রথম ১০ দিনব্যাপী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এসে এখানে পূজা দেখতে ভিড় করেন।
পূজা দিতে আসা নারীরা বলেন, ‘প্রতি বছরই জলভর্তি ঘট নিয়ে দুর্গা মাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছি। পবিত্রতার পাশাপাশি সাজসজ্জা ও ঢাক-ঢোল বাজিয়ে মার আগমনী বার্তায় আমরা উজ্জীবিত হই।’
ত্রিনয়নী পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি মানিক সাহা জানান, এ মণ্ডপে এবারই প্রথম ১০ দিনব্যাপী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এরআগে ষষ্ঠী থেকে দূর্গা পূজার আয়োজন করা হতো।