করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি হওযায় নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে প্রথম দিনের মত এক সপ্তাহের সর্বাত্মক বিশেষ লকডাউন। এই লকডাউন মানাতে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল থেকেই যথেষ্ট তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইতিমধ্যে পৌরসভার ২৩টি ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ১৮টি পয়েন্টে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।
তবে প্রথম দিনেই দেখা গেছে-বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন। যানবাহন না থাকলেও রাস্তায় বেশকিছু রিকশা-ভ্যান ও মোটরসাইকেল চোখে পড়েছে। আবার অনেক মানুষ পায়ে হেঁটে ও বাইসাইকেল চালিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। বন্ধ রযেছে সকল প্রকার দোকানপাট। তবে কাঁচাবাজারগুলো সকাল ৭টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচা কেনার কথায় থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে জনসাধারণ ও যানবাহন প্রবেশ বা চলাচল রোধ করতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। জরুরি সেবা ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না।
সকালে নওগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে জনসাধারণ ও যানবাহন প্রবেশ বা চলাচল রোধ করতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। জরুরি সেবা ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না।
সার্বিক বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এ চিশতী জানান-নওগা পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ রোধে বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই লকডাউন বাস্তবায়ন করতে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জেলা পুলিশ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে গেলে ঘরে ফেরত পাঠাচ্ছে। তবে জরুরি সেবা, পণ্যবাহী যানবহন ও আম পরিবহনে সংশ্লিষ্ট যানবাহগুলো কঠোর লকডাউনের আওতামুক্ত রয়েছে।
এর আগে বুধবার (২ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করে নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলাকে ৭ দিনের বিশেষ সর্বাত্বক লকডাউন ঘোষণা করে গণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসক।
এছাড়াও লকডাউন ঘোষিত এলাকায় সব দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। লকডাউন চলাকালে সংবাদপত্র, রোগী বহনকারী গাড়িসহ জরুরি পরিসেবা ও পণ্যবাহী পরিবহন চালু থাকবে।