করোনার এই মহামারিকালে ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায় প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছেনা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ ল্যাব টেকনিশিয়ানের তিনটি পদসহ শূণ্য রয়েছে সহকারী ল্যাব টেকনিশিয়ানের তিনটি পদও, নেই এক্স-রে টেকনিশিয়ানও।
তাই এই শূণ্য পদগুলো পূরণ ও হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালুর দাবি জানিয়েছেন হাসপাতালটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস।
ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা না থাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অধিক চাপের অক্সিজেন প্রয়োজন হলে খুলনায় পাঠাতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ জনকে পাঠানো হয়েছে খুলনায়। এ ছাড়া টেকনিশিয়ান না থাকায় ননটেকনিশিয়ানদের দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করানো হচ্ছে। টেকনিশিয়ান না থাকায় বন্ধ রয়েছে এক্স-রে মেশিনও।
তিনি আরও বলেন, করোনা রোগীদের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে না পারায় তাদের খুলনায় পাঠাতে হচ্ছে। যদিও হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন, তেমনি এক্স-রেও। হাসপাতালটিতে করোনার যে ইউনিট রয়েছে সেখানে একসঙ্গে ১৫ জনকে সেবা দেওয়া যায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়ে এখানে চিকিৎসা নিয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের ভিড়। শূন্য পড়ে রয়েছে হাসপাতালের পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডের বেডগুলো। করোনা বাড়ায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা ভয়ে চলে গেছে। হাসপাতালে আসছেও কম সংখ্যক রোগী।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার সকাল থেকেই কোস্টগার্ড সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছেন। চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মানুষকে সতর্ক ও স্বাস্থ্য সচেতন থাকার পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।