রাতের নিভু নিভু আলোয় হাঁটতে থাকা পথিক কিংবা দ্রুত গতিতে ছুটে চলা যানবাহনের যাত্রী। সবার নাকেই আসছে এক মিষ্টি সুবাস। নগরের কোলাহলে যে সুবাস পাওয়াটা অনিশ্চিত সেটি পাওয়া যাবে পটুয়াখালী শহরের কলেজ রোড এলাকায়। সড়কের ডিভাইডারে সুবজ পাতার ফাঁকে ফুলে ফুলে ভরে গেছে কামিনী। আর তার সুবাসেই পুরো এলাকা এখন সুবাসিত। মনের অজান্তেই মনকে ভালো করে দেয় এই সড়কটি।
দিনের আলোয় চোখে না পরলেও রাতের নিভু আলোয় সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে সাদা ফুলগুলো উঁকি মারছে, যা পথিককে সহজেই আকৃষ্ট করে। তাইতো মিষ্টি সুবাস পেয়ে অনেক পথিককেই তার গতি থামাতে হচ্ছে।
গত বছর করোনার মাঝামাঝি সময় পটুয়াখালী শহরের সিঙ্গারা পয়েন্ট থেকে দুই নং বাঁধ ঘাট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের মাঝখানের ডিভাইডারে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশি ফুল গাছ লাগায় পটুয়াখালী পৌরসভা। আর সে সব গাছ এক বছরে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।
পটুয়াখালী পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, ‘বর্তমানে মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সড়ক গুলোকে যেমন দৃষ্টি নন্দন করছি পাশপাশি স্থানীয় পরিবেশ এবং প্রতিবেশ ঠিক রাখতেও কাজ করছি। এর অংশ হিসেবে ডিভাইডার গুলোতে আগাছা পরিস্কার করে সেখানেই দেশী বিদেশি ফুল গাছ রোপণ করে তা নিয়মিত পরিচর্যা করা হচ্ছে। এখন ফুল ফোটায় শহরবাসীর কাছে ভালো লাগছে আর এতে করেই আমরা আমাদের কাজের তৃপ্তি পাচ্ছি।’
এদিকে এই সড়কে কামিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন রং এর চেরি, কাঁঠ গোলাপ, এলমনডা, এবং কনচাঁপাসহ বিদেশি শোভাবর্ধনের গাছ নাকাচুয়া, বটলব্রাশ এবং ট্রাইম্যানট্রিয়াও লাগানো হয়েছে।
পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘একটি বাসযোগ্য আধুনিক শহর গড়তে উন্নয়নের সকল ধাপে পরিবেশের বিষয় গুলো মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। উন্নয়ন হবে পরিকল্পিত এবং জনবান্ধব। শহরবাসী সড়কে শুধু যানবাহন চালাবে তেমনটি নয় সড়ক এবং এর আশ পাশের পরিবেশটি এমন হবে যে আপন মনে শহরবাসী হাঁটতেও বের হবে। তাইতো প্রতিটি সড়কের পাশেই ফুলের বাগান করার চেষ্টা করছি।’