আবারও শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রম। এবার টিকা পাবেন তিন ক্যাটাগরির মানুষ। এবারে টিকার সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে নিবন্ধনের ধরনও সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ঢাকাসহ সারা দেশে ফের করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সুরক্ষা ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এখন শুধুমাত্র সম্মুখ সারির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, চিকিৎসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছাত্রছাত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের ছাত্রছাত্রীদের টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে যে, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা সেবা খাত সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ ডাক্তার, নার্স ও মেডিকেল সহকারী সেইসঙ্গে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টিকা দেয়া হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীরা এবারে টিকার নেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
এছাড়া যারা আগেরবার টিকার জন্য নিবন্ধন করেও টিকা নিতে পারেননি, এবার তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীরা অগ্রাধিকার ক্যাটাগরিতে না পরলেও জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে নিবন্ধন করে দুটি টিকার যেকোনোটি নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন গণমাধ্যমকে জানান, এবারে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে চীনের ওষুধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের টিকা এবং শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে।
দেশে গত মে মাসে সিনোফার্ম এবং জুন মাসে ফাইজারের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়। কারও মধ্যে বিরূপ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে চালু করা হয়েছে এই গণটিকা দান কর্মসূচি।
ফাইজারের টিকা সীমিত সংখ্যক থাকায় আপাতত ঢাকার সাতটি কেন্দ্র থেকে টিকাটির প্রথম ডোজ দেয়া হবে।
কেন্দ্রগুলো হল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
এছাড়া সিনোফার্মের টিকা সারাদেশের ৪০টি কেন্দ্রে থেকে দেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ, জেলা সদর হাসপাতাল, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল।
এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিবন্ধন পাওয়া ব্যক্তিরা প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারবেন।
ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন জানান, প্রতিটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ ডোজ টিকা দেয়ার কথা রয়েছে। তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে টিকা দেয়ার হার কমে যেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর এবং টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বুধবার করোনা বুলেটিনে জানিয়েছেন, যেসব দেশে সিনোফার্মের টিকা অনুমোদিত, সেইসব দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে।
তবে সৌদিআরব, কুয়েতসহ যেসব দেশে সিনোফার্মের টিকা নিয়ে জটিলতা রয়েছে, শুধু তাদেরই ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।