অশনিসংকেত

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪ | 2023-08-27 02:26:15

করোনাকালে মানসিক চাপ আগের থেকে অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছে ৩৪.৯ শতাংশ তরুণ-তরুণী। তবে ১৮.৪ শতাংশ তরুণ-তরুণী বলেছে, করোনায় তাদের মানসিক চাপ আগের চেয়ে কম।

এছাড়া মানসিক অস্থিরতা বা বিষণ্নতায় ভোগে ১৮-২৫ বছরের ৬১.২ শতাংশ তরুণ-তরুণী। তাদের মধ্যে আবার ৪৪.৩ শতাংশ বিষণ্নতার বিষয়টি কাছের মানুষের কাছে বলতে চাইলেও পাশে পায় না।

২৭.৬ শতাংশ তরুণ-তরুণী দৈনিক ছয় ঘণ্টার বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় ব্যয় করে। দৈনিক গড়ে ৩০ মিনিটের বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

আঁচল ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি শনিবার এ তথ্য প্রকাশ করে। জরিপে অংশ নেয় দুই হাজার ২৬ জন মানুষ। ২০২১ সালের ১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ‘আত্মহত্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তরুণদের ভাবনা’ শিরোনামে এই জরিপটি পরিচালনা করা হয়।

জরিপে দেখা যায়, ৪৯.৯ শতাংশ তরুণ-তরুণী আত্মহত্যার ব্যাপারটি চিন্তাই করে না। ৩৮.১ শতাংশ তরুণ-তরুণীর মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা আসে, কিন্তু চেষ্টা করেনি। ৮.৩ শতাংশ আত্মহত্যার জন্য বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুত করেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেনি এবং ৩.৭ শতাংশ বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেও বিফল হয়েছে।

আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ বলছেন, তরুণরাই আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। তরুণরা যখন আত্মহত্যাপ্রবণ কিংবা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে, তা নিশ্চিতভাবেই দেশের জন্য অশনিসংকেত।

তিনি বলেন, কাউন্সেলিং দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হবে না। পরিবারেরও বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে সন্তানকে মানসিক ট্রমার হাত থেকে বাঁচাতে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর