দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীতে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক যানবাহন। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে মেরামত কারখানা মধুমতিতে রয়েছে দুই ফেরি। এতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সারি আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৮টি ফেরি রয়েছে। এরমধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে মেরামত কারখানা মধুমতিতে রয়েছে বড় ফেরি ভাষা শহিদ বরকত এবং ছোট ফেরি শাপলা সালুক।
যে কারণে অপেক্ষমান যানবাহনের সারি আরও দীর্ঘ হচ্ছে। সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দুইটি ট্রাক টার্মিনালে চার শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারাপারের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। একইসঙ্গে ৫০-৬০টি বাস এবং ২০/৩০টি ছোট গাড়ি নৌরুট পারাপারের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মহিউদ্দিন রাসেল।
যানবাহনের দীর্ঘ সারির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাড়তি যানবাহনের চাপ রয়েছে। এছাড়া নৌরুটের দুইটি ফেরি বিকল। অপরদিকে আবার নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। যে কারণে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমান যানবাহনের চাপ বাড়ছে।
এক থেকে দেড় ঘণ্টার অপেক্ষায় বাস ও ছোট গাড়ি চালকেরা নৌরুট পারাপারের সুযোগ পেলেও ট্রাক চালকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১০/১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত। খুব সহসাই এমন ভোগান্তি লাঘবের কোন সম্ভাবনাও নেই বলে মন্তব্য করেন জিল্লুর রহমান।