প্রতি বছর দেশের প্রায় ২০ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ শুরুতেই শনাক্ত করা গেলে এ রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন নারীরা এবং আক্রান্ত ৫০ শতাংশ নারী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
শনিবার বিশ্ব স্তন ক্যানসার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ তথ্য জানান। এ উপলক্ষে হাতিরঝিলে ‘ওয়াক ফর পিংক’ নামে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সহযোগিতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এইচপিএনএসপি) অধীনে প্রথমবারের মতো এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
‘ওয়াক ফর পিংক’ সমাবেশ থেকে জানানো হয়, অনেকেই মনে করেন স্তন ক্যানসারে শুধু নারীরা আক্রান্ত হন। নারী-পুরুষ উভয়ই আক্রান্ত হতে পারেন। বিশ্বে প্রতি আটজনে একজন নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশে স্তন ক্যানসারের রোগীর মধ্যে ৯৮ শতাংশই নারী।
সমাবেশে বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, বেশি বয়সে প্রথম সন্তান জন্মদান, সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো এবং অতিরিক্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে স্তন ক্যানসার হতে পারে। তবে শুরুতেই শনাক্ত করা গেলে সহজেই এ রোগ থেকে সুস্থতা লাভ করা সম্ভব।
ওয়াক ফর পিংক-এর সমন্বয়ক ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা জানান, গত দুই বছরে তারা অনলাইন-অফলাইনে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে স্তন ক্যানসার ও জরায়ু মুখের ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ক্যানসারের কথা শুনলেই অনেকেই আঁতকে ওঠেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই জানেন না এটি প্রতিরোধযোগ্য। এ সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জানা না থাকায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিগুলো কাদের মধ্যে বেশি, প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী এবং যেসব নারী ঝুঁকি বহন করছেন, তারা কীভাবে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজে বিপদ এড়িয়ে চলতে পারেন, এ নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা এখন সময়ের দাবি।