কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক রাজনীতির মাঠে সার্বক্ষণিক ব্যস্ততার পরেও এক নান্দনিক জীবন-যাপন করেন। দরাজ গলায় গান করেন। আবৃত্তি করেন। রূপসী বাংলার নিসর্গ, প্রকৃতি ও মানুষের ছবি তুলেন।
তৌফিকের ক্যামেরার চোখে মূর্ত হয়েছে অপরূপ বাংলা। বিশেষত হাওরাঞ্চলের প্রাণবৈচিত্র্য ও বহুমাত্রিক জীবন প্রাণ পায় তার ক্যামেরার লেন্সে। শীতের এই বিমূর্ত পরিবেশে অতলান্ত হাওরে থৈ থৈ পানি আর নেই। সেখানে এখন আদিঅন্তহীন মাঠে সবুজ ফসলের উচ্ছ্বাস। আকাশ ও মৃত্তিকার যুগলবন্দীতে সূর্যের আবিরখেলার অনিন্দ্য সৌন্দর্য ফ্রেমে ধরেছেন তিনি।
আগেও তৌফিক হাওরের জলে বিম্বিত বছরের শেষ সূর্যাস্ত কিংবা প্রথম সূর্যোদয় ধারণ করেছেন। জোছনা আলোকিত হাওরের জল প্লাবিত কল্লোল তুলে এনেছেন। স্থির চিত্রে দেখিয়েছেন হাওরের দিগন্তরেখা কিংবা জলের ভূগোলে উদ্ভাসিত সুপার মুন।
যেকোনো অনুষ্ঠানে, আড্ডায় আলোচনায় গান শোনান তৌফিক। তার গানে থাকে মা, মাটি, মানুষের প্রতি ছলছল দরদ। কণ্ঠের প্রেমময়তায় আবিষ্ট করেন তিনি দর্শক-শ্রোতাদের। সংস্কৃতি শোভিত একটি মানবিক মন কখনও আড়াল করেন না তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে প্রকৌশলী হওয়ায় এক সময় বিভিন্ন যান্ত্রিক সামগ্রী নিয়ে করেছেন নিরীক্ষা। একদা সাংবাদিকাও করেছেন। বন্ধুদের নিয়ে প্রকাশ করেছিলেন মুদ্রিত পত্রিকা। এখনো স্কুল, কলেজ, পাড়া, মহল্লার বন্ধুদের পেলে মেতে উঠেন আড্ডায়। হাওরে গেলে আমজনতার ঘরের মানুষে পরিণত হন তিনি। পায়ে হেঁটে খোঁজ নেন সর্বস্তরের মানুষের। একটি স্বপ্নের উন্নত হাওরের জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও নির্দেশে অবিরাম ছুটে চলেন এমপি তৌফিক।
তৌফিকের নিরন্তর পরিশ্রমে ছাপ নানা উদ্যোগ ও নির্মাণের আলোকমালায় ঝলঝল করছে হাওরের চারপাশে। এক সময় দুর্গম ও অবহেলিত হাওর এখন উন্নয়ন, সমৃদ্ধি আর জাগরণের জনপদ। রাষ্ট্রপতির জেষ্ঠ্যপুত্র হলেও সব প্রটোকল ভেঙে 'হাওরের ছেলে' তৌফিক নিজেকে রূপান্তরিত করেছেন কিশোরগঞ্জের বৃহত্তর হাওরের ইটনা, মিটামইন, অষ্টগ্রামের 'ঘরের ছেলে' নামক একান্ত আন্তরিকতায় মেশানো ভালোবাসা সিক্ত পরিচিতিতে।