নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের বাসায় মিষ্টি নিয়ে গেলেন বিজয়ী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে শহরের মাসদাইর এলাকায় তৈমুরের বাসভবনে যান তিনি। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।
তারা একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তৈমুরের স্ত্রী ফারজানা খন্দকার, কন্যা মার-ই-য়াম খন্দকার, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
আইভী বলেন, আমি বলেছিলাম কাকার বাড়িতে যাবো, আসছি। তার মেয়ে জিতেছে। আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক, এটা বজায় থাকবে। আমি পুরো নির্বাচনেই বলে এসেছি রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি পারিবারিক সম্পর্কের কোন ঘাটতি পড়বে না। কাজ করতে গেলে অবশ্যই পরামর্শ নিবো। আগেও অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেছেন। এই রকম পারিবারিক সহযোগিতা থাকবেই। আমরা সবাই নারায়ণগঞ্জের মানুষ। যে যেই দলই করি না কেন, প্রত্যেকের সাথেই একটা সম্পর্ক আছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, দলের ঊর্ধ্বে কাজ করা শ্রেষ্ট এবাদত। এই এবাদতের কাজ আমরা সকলেই করবো, এটা আমি বিশ্বাস করি। আমরা সবাই যেন এক সাথে বসবাস করতে পারি এবং আমরা যেন এক সাথে কাজ করতে পারি।
তৈমুর আলম বলেন, মেয়র আইভীর বাবা আলী আহমদ চুনকার হাত ধরেই ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে আমার রাজনীতিতে উত্থান। চুনকা ভাই আমার মাকে মা বলতেন, আমি তাকে ভাই বলতাম। আমি যেখানেই থাকি আলী আহমদ চুনকার জন্য দোয়া করি। আমার শ্রদ্ধাবোধ চুনকা ভাইয়ের জন্য আজীবন থাকবে। তার মেয়ের পেছনে আমি আছি। যেকোনো জায়গায় সে থাকুক, তার যেকোনো বিপদ-আপদে অদৃশ্য শক্তির মতো তার মাথায় আমার হাত আছে। এটা রাজনৈতিক ব্যাপার না এটা পারিবারিক ব্যাপার। আমি আইভীর দীর্ঘায়ু কামনা করি, সুস্বাস্থ্য কামনা করি। প্রশাসন হিসেবে, মেয়র হিসেবে সাফল্য কামনা করি।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) ঘোষিত ১৯২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৬৬ ভোট।